রেমা-কালেঙ্গা বনে গোলাগুলি, ৫০ জনের নামে অস্ত্র মামলা
হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে বনে গোলাগুলির ঘটনায় ১০ জনের নামসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৪০-৫০ জনের নামে মামলা হয়েছে। মামলায় সরকারি কাজে বাধা, সংঘবদ্ধভাবে অস্ত্রসহ অনধিকার প্রবেশ, অবৈধভাবে গাছ কাটা ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ আনা হয়।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে রেমা বন বিটের বিট কর্মকর্তা আল আমিন বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন, পীরপুর গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে সুমন মিয়া (৩০), একই গ্রামের আব্দুল রহিমের ছেলে মো. শাহিন মিয়া (৩২), নিশ্চিন্তপুর গ্রামের কাছম আলীর ছেলে মো. মানিক মিয়া (২৫), মো. শফিক মিয়া (২৭), মো. সাহিদ মিয়া (২৯), আমিরপুর গ্রামের সহিদ মিয়ার ছেলে মো. সুমন মিয়া (২৬), নিশ্চিন্তপুর গ্রামের মো. মিশন মিয়া (২৭), মো. কাওসার আলম দুলাল (২৮), মো. পারভেজ মিয়া (২৮) এবং পীরপুর গ্রামের মিস্টার মোল্লা (৩৫)। সকল আসামি চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ইউনিয়নের বাসিন্দা।
চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, গত ১১ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক ১০টার দিকে বন বিভাগের একটি টহল দল কালেঙ্গা বিট এলাকায় নিয়মিত টহলে বের হয়। দিবাগত রাত আনুমানিক ২টার দিকে কালেঙ্গা রেঞ্জের নিশ্চিন্তপুর খোয়াইছড়া এলাকায় গাছ কাটার শব্দ পেয়ে টহল দল ঘটনাস্থলে অগ্রসর হয়। সেখানে টর্চলাইট জ্বালিয়ে আসামিদের গাছ কাটতে দেখা যায়। বন বিভাগের সদস্যরা বাধা দিলে আসামিরা আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মারমুখী হয়ে ওঠে এবং প্রাণনাশের উদ্দেশ্যে গুলি চালায়।
আত্মরক্ষার্থে বন বিভাগের সদস্যরা ফাঁকা গুলি ছুড়ে নিরাপদ স্থানে সরে যান। পরবর্তীতে বিজিবির সহায়তায় পুনরায় অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থল তল্লাশি করে দেখা যায় আসামিরা ১২টি সেগুন ও ৮টি আকাশমণি গাছ কেটে নিয়ে গেছে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে সেগুন ও আকাশমণি গাছের মোট ৫৭ টুকরা গোলকাঠ উদ্ধার করা হয়। যার পরিমাণ ১১৬ দশমিক ২৯ ঘনফুট। উদ্ধারকৃত কাঠের আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় দেড় লক্ষ টাকা।
সৈয়দ এখলাছুর রহমান খোকন/কেএইচকে/এএসএম