ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

একরাম হত্যাকাণ্ডের ১ বছর : এখনো আতঙ্ক কাটেনি পরিবারে

প্রকাশিত: ০৪:২০ এএম, ২০ মে ২০১৫

আজ ২০ মে বুধবার। ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা সাবেক চেয়ারম্যান ও  উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একরামুল হক একরাম হত্যার প্রথম বার্ষিকী। এক বছর আগে সংগঠিত এ হত্যাকাণ্ডটি শুধু দেশে নয়, বিশ্ব মিডিয়ায় আলোচিত-সমালোচিত হয়েছিল। নিন্দা ও ক্ষোভের ঝড় উঠেছিলো সর্বত্র।

এক সময়কার দাপটে এ নির্বাাচিত জনপ্রতিনিধির হত্যাকাণ্ডের প্রথম বছরে কারো মুখে কোন সাড়াশব্দ নেই। এক অজানা আতঙ্ক সবার চোখে মুখে। একরামেরর বড় ভাই কিংবা স্ত্রী বরাবরের মত সাংবাদিকদের এড়িয়ে যাচ্ছে। তাদের আশঙ্কা আবার না কোন বিপদে পড়তে হয়।

মামলার বিচার কাজের ব্যাপারে মামলার বাদী একরামের ভাই রেজাউল হক জসিমের কাছে তার বাসায় বারবার অভিমত নেয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় এ প্রতিবেদক । এক পর্যায় ঘরের দরজা বন্ধ করে সাংবাদিকদের থেকে নিষ্কৃতি চাচ্ছেন মামলার বাদী।

একরামের স্ত্রী তাসনিম আক্তার মলিন গলায় জাগো নিউজকে বলেন, বেঁচে থাকতে হয় বেঁচে আছি। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করে হত্যার বিচার চেয়েছি । আবারো তার কাছে বিনিতভাবে দ্রুত এ হত্যার বিচার কামনা করি। তিনি আরো বলেন, মামলার আসামিরা বের হলে তা তার সন্তানদের জন্য হুমকির কারণ হবে।

এ মামলার ব্যাপারে ফেনী জর্জ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট হাফেজ আহম্মদ বলেন, একরাম হত্যা মামলার ২১ পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে মালামাল ক্রোকের আদেশ জারি করেছে আদালত। অতিদ্রুত মামলাটির বিচার কাজ শুরু হবে।

পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের বিষয়ে ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহম্মদ শামসুল আলম সরকার জানান, পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। সর্বশেষ ১০ মে শহরের একাডেমি এলাকা থেকে এই মামলার চার্জশীটভুক্ত পলাতক আসামি মোহাম্মদ মানিক ওরফে তোতা মিয়াকে (২৮) গোয়েন্দা পুলিশ দুটি অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছে। এজহারভুক্ত সকল আসামিকেই গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

এদিকে, প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দলের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কোন কর্মসূচির খবর জানা যায়নি। তবে ঘরোয়াভাবে তার পরিবার মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে বলে পরিবার সূত্র জানা গেছে।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২০ মে সকাল ১০ টা ৫০ মিনিটের দিকে ফেনী শহরের মিজান রোডস্থ ডায়াবেটিক হাসপাতাল থেকে ফুলগাজী উপজেলা পরিষদের একটি সভায় যোগদানের উদ্দেশ্যে বের হন একরাম। শহরের বিলাসী সিনেমা হলের কাছে পৌঁছালে প্রথমে একটি ময়লার ট্রলি দিয়ে তাকে বহনকারী প্রাডো গাড়ির গতিরোধ করার চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা। ট্রলিটি চাপা দিয়ে পার হওয়ার সময় গাড়িটির এক চাকা সড়ক ডিভাইডারের সাথে ধাক্কা খেয়ে উপরে উঠে যায়। এসময় চতুর্দিক থেকে গুলি ও বোমা ফাটিয়ে একদল দুস্কৃতিকারী তার গাড়িটি ঘেরাও করে। শুধু তাই নয়, গুলি করে হত্যার পর তাকে বহনকারী গাড়িতে আগুন ধরিয়ে লাশ পুড়িয়ে ফেলা হয়।

জহিরুল হক মিলু/এসএস/এমএস