ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

বোঝার উপায় নেই কাঁচা না পাকা

জেলা প্রতিনিধি | সাতক্ষীরা | প্রকাশিত: ০৪:১৬ এএম, ২৪ জুলাই ২০১৭

সাতক্ষীরার সড়ক মহাসড়কগুলোতে দুর্ভোগ কোনো নতুন বিষয় নয়। দুর্ভোগের মধ্য দিয়েই সাতক্ষীরার মানুষের চলাফেরা। তবে দুর্ভোগের সঙ্গে নতুন মাত্রা যোগ করেছে বৃষ্টি। কোনটি রাস্তা আর কোনটি খানাখন্দ চেনার উপায় নেই। দেখে বোঝার উপায় নেই এটি পাকা না কাঁচা সড়ক। পিচ উঠে কাদায় পরিণত হয়েছে। হেঁটে চলার কোনো উপায় নেই সড়কগুলোতে।

সাতক্ষীরা-কলিগঞ্জ-শ্যামনগর-আশাশুনি-পাটকেলঘাটা-খুলনা-যশোর। সাতক্ষীরা থেকে যোগাযোগের অন্যতম এসব মাধ্যমগুলো এখন কাদায় পূর্ণ। জেলা সদর থেকে শুরু করে এমন বেহাল দশা উপজেলাগুলোতেও। নাগরিক এসব দুর্ভোগের চিত্র জনপ্রতিনিধিদের চোঁখে পড়ে না এমন অভিযোগ শুধু সর্বসাধারণের নয় যানবাহন ব্যবহারকারীদেরও।

জেলা সচেতন নাগরিক কমিটির সদস্য অ্যাড. ফাইমুল হক কিসলু জাগো নিউজকে বলেন, এখানে কোনো জনপ্রতিনিধি আছে বলে মনে হয় না। জনগণের কাছে কোনো জবাবদিহিতা নেই কারো। জনগণের যে দুর্ভোগ এসব কারো চোঁখে পড়ে না। সবাই নিজের আখের গোচাতে ব্যস্ত।

satkhira-road

সাতক্ষীরা বিজিবি সদর দফতরের সামনে রাস্তার বেহাল দশার ছবি ধারণকালে পথচারী ওহিদুর রহমান আক্ষেপের সঙ্গে বলেন, বিজিবি দফতরের সামনের রাস্তার অবস্থা যদি এই হয় তবে অন্য জায়গার অবস্থা কী বুঝুন। সাতক্ষীরায় অযোগ্য লোকরাই জনপ্রতিনিধি হওয়ার কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে মানুষকে।

এসময় তিনি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি একটু সাতক্ষীরা ভ্রমণ করুন। তবেই বুঝবেন মানুষের আসল দুর্ভোগের চিত্র। কোনটি রাস্তা আর কোনটি গর্ত চেনার কোনো উপায় নেই। প্রতিনিয়তই বাড়ছে দুর্ঘটনা।

বাসচালক মিজানুর রহমান বলেন, ঝুঁকির মধ্য দিয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে। বাসের যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তবে সেটি বড় কথা নয় যাত্রীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে। যেকোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। বৃষ্টির কারণে সড়কের অধিকাংশ স্থানে গর্ত আর রাস্তার মধ্যে পার্থক্য বোঝার উপায় নেই।

দুর্ভোগের চিত্র তুলে ধরে বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি আবু আহম্মেদ জাগো নিউজকে জানিয়েছেন, রাস্তাঘাটের জন্য বাস মালিকদের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। দুর্ভোগে রয়েছে যাত্রীসহ সর্বসাধারণ মানুষ। বার বার বলা সত্ত্বেও কোনো ফল হচ্ছে না। শহরের প্রধান প্রধান সড়কসহ উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগের প্রধান মাধ্যমগুলোর অবস্থাও একই। জেলা মাসিক সমন্বয় সভায়ও বিষয়টি বার বার উপস্থাপন করা হয়েছে।

satkhira-road

এদিকে মানুষের দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে সাতক্ষীরার সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ সহকারী প্রকৌশলী মো. জিয়া উদ্দীন বলেন, সাতক্ষীরা সদরের প্রধান সড়কটি অত্যন্ত খারাপ। এটার কাজ শুরু হয়েছে। আগামী ঈদুল আজহার আগেই কাজ শেষ হবে আশা করছি।

তাছাড়া জেলার যেসব সড়ক চলাচলের অনুপযোগী সেগুলো কিছুটা সংস্কার করা হয়েছে। গত অর্থবছরে তিন কোটি টাকার বাজেট ছিল। সে টাকায় যেটুকু সম্ভব সংস্কার করা হয়েছে সেটুকু করেছি। আগামীতে বরাদ্দ পেলে সংস্কার করা হবে।

তিনি আরও বলেন, সড়ক ও জনপথের আওতাধীন জেলায় ২৫০ কিলোমিটার পাকা সড়ক রয়েছে। সব সড়কই কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত। বৃষ্টির কারণে দুর্ভোগের মাত্রা আরো বেড়েছে। বিষয়গুলো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

আকরামুল ইসলাম/এফএ/জেআইএম

আরও পড়ুন