ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

বিপদসীমার উপরে যমুনার পানি : সিরাজগঞ্জে ২৮৫ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ

জেলা প্রতিনিধি | সিরাজগঞ্জ | প্রকাশিত: ০৬:২৪ এএম, ১৮ আগস্ট ২০১৭

যমুনার পানি গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ সেন্টিমিটার কমেছে। তবে ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে এখনো বিপদসীমার ১৪০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকায় গত সাতদিনে জেলার ২৮৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি না বাড়লেও বিপদসীমার ১৪০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সাতদিনের ব্যবধানে জেলার সদর, কাজিপুর, উল্লাপাড়া, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলার ৪৪টি ইউনিয়নের তিন শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকায় প্রায় ৩ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

উপজেলাগুলোর দুর্গম চরাঞ্চলের অবস্থা আরও নাজুক। গবাদি পশু, শিশু, বয়োবৃদ্ধদের নিয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন জেলার বন্যা দুর্গতরা। জ্বালানি, ওষুধ, ত্রাণ, স্যানিটেশন ও বিশুদ্ধ পানি সঙ্কটে জেলার পানিবন্দি মানুষের দুর্ভোগের যেন শেষ নেই। এর মধ্যে রয়েছে চরাঞ্চলে রাতে ডাকাতের উৎপাত, দিনের বেলায় ঘরে সাপ-পোকা মাকড়ের ভয়।

Flood

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পানি বাড়ায় সিরাজগঞ্জ জেলার ৬টি উপজেলার ২৮৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে। দুর্গত এলাকায় গবাদি পশুর খাবার সঙ্কটে দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছে বানভাসী মানুষ। সাতদিনের ব্যবধানে ৫৫ হাজার পরিবারের ৩ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

সিরাজগঞ্জ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ হাসান ইমাম জানান, ১৯৮৮ সালে জেলায় বিপদসীমার ১১৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছিল। এবার সেই সীমার চেয়েও ২৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুহাম্মদ কামরুল হাসান জানান, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ রক্ষায় সার্বক্ষণিক একজন অফিসার নিয়োগসহ গ্রাম পুলিশ নিয়োগে ইউপি চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ৬টি উপজেলায় ৪শ’ মেট্রিক টন চাল ও সাড়ে ১২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

পর্যায়ক্রমে বন্যা দুর্গতদের ত্রাণ সামগ্রী বরাদ্দ দেয়া অব্যাহত রাখা হবে বলেও জানান তিনি।

ইউসুফ দেওয়ান রাজু/আরএস/আইআই

আরও পড়ুন