রাঙ্গামাটিতে আ.লীগ নেতা হত্যা : ৭ জন রিমান্ডে
রাঙ্গামাটির জুরাছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অরবিন্দু চাকমাকে হত্যা, বিলাইছড়ি উপজেলার সহ-সভাপতি রাসেল মারমা এবং জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ঝরনা খীসাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেফতার বিলাইছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান শুভমঙ্গল চাকমা ও তার ছেলেসহ ১৯ জনকে ফের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তাদের মধ্যে ঝরনা খীসার প্রাণনাশের চেষ্টা মামলায় রাঙ্গামাটি শহর থেকে গ্রেফতার ৭ জনকে ১ দিনের পুলিশ রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে তাদেরকে পুলিশ আদালতে হাজির করলে রাঙ্গামাটি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারক কাজী মোহসেন এ আদেশ দেন। আদালত সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করে।
পুলিশ জানায়, ৫ ডিসেম্বর জুরাছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অরবিন্দু চাকমাকে গুলি করে হত্যা, বিলাইছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রাসেল মারমার প্রাণনাশে তাকে শারীরিক নির্যাতন এবং ৬ ডিসেম্বর রাঙ্গামাটি জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ঝরনা খীসার প্রাণনাশে তার নিজ বাসায় ঢুকে তাকে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে দুর্বৃত্তরা।
ওই তিন ঘটনায় করা পৃথক মামলায় এরই মধ্যে ১৯ জনকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠান আদালত। পূর্ব ধার্য তারিখ অনুযায়ী মঙ্গলবার শুনানির জন্য তাদেরকে আদালতে হাজির করা হয়।
এ সময় আদালতে গ্রেফতারকৃতদের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে পুলিশ। এতে ঝরনা খীসার প্রাণনাশের চেষ্টার মামলায় গ্রেফতার ৭ জনকে ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন রাঙ্গামাটি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারক কাজী মো. মোহসেন।
রিমান্ডে নেয়া ৭ জন হলেন- রিটন চাকমা, বাবু চাকমা, মঙ্গল মণি চাকমা, সাধন চাকমা, রিকন চাকমা, কালনজিৎ চাকমা ও রূপম চাকমা।
জুরাছড়ির অরবিন্দু হত্যা মামলায় ৫ জন এবং বিলাইছড়ির রাসেল মারমার প্রাণনাশের চেষ্টার মামলায় ৭ জনসহ তিন মামলায় গ্রেফতার সবাইকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
এ ছাড়া অরবিন্দু হত্যা মামলার ১৭ ডিসেম্বর এবং রাসেল মারমার প্রাণনাশের চেষ্টার মামলার ১৮ ডিসেম্বর পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
সুশীল প্রসাদ চাকমা/এএম/আরআইপি