নড়াইলে তুচ্ছ ঘটনায় সংঘর্ষ, ভাঙচুর-লুটপাট
নড়াইলের কালিয়া উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আট জন আহত হয়েছে। এঘটনায় এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং দুইজন আটক করেছে পুলিশ।
শুক্র ও শনিবার দুই দফায় উপজেলার পুরুলিয়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আহতরা হলেন- ওই গ্রামের মনিরুল মোল্লা (৪০), জাকারিয়া মোল্লা (৩৮) , ইউসুফ মোল্লা (৪২) তৈয়বুর শেখ (৪০), মাছুম শেখ (৩৫) ,শাহাজান মোল্লা (৩৬) , ইয়াছিন মিনা (৩৩), শওকত মিনা (৪২)। তাদেরতে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে গ্রেপ্তার এড়াতে অনেকেই বাড়ি-ঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে ।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার বিকেলে নড়াইল-কালিয়া সড়কের পুরুলিয়া মোড়ের রাস্তার পাশে কয়েকজন শিশু ফুটবল খেলছিল। এসময় লক্ষীপুর গ্রামের মহসিন শেখ মোটরসাইকেল চালিয়ে যাবার সময় বলটি তার সাইকেলে লাগে । এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই বাচ্চাটিকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে। বাচ্চাটির মা তা শুনতে পেয়ে মহসিননের কথার প্রতিবাদ করে । এর জের ধরে শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে লক্ষীপুর গ্রামের কুবাদ শেখ, কামরুল সরদার, আলী মোল্লার নেতৃত্বে কয়েকশ মানুষ দেশিয় অস্ত্র নিয়ে পুরুলিয়া গ্রামে হামলা চালায় । হামলা ঠেকাতে গেলে ওই গ্রামের আটজন আহত হন। পরে শনিবার সকালে কুবাদ শেখের লোকজন পুরুলিয়া গ্রামে আবারও হামলা করে । এ সময় মনিরুল মোল্লা, জাকারিয়া মোল্লা,ইবাদত শেখসহ সাতটি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করে। ঘটনার পর পরই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পুরুলিয়া গ্রামের ছলেমান শেখ জানান, তুচ্ছ বিষয় নিয়ে তুলকালাম কাণ্ড ঘটানো হয়েছে । ৬-৭টি বাড়ি-ঘর ভাংচুরসহ লুটপাট করা হয়েছে ।
নড়াইলের সহকারি পুলিশ সুপার মো. জালাল উদ্দীন বলেন, এখন পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে লক্ষীপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে বায়জিদ হোসেন এবং শহীদ মোল্লার ছেলে প্রিন্স মাহামুদকে আটক করা হয়েছে ।
জানা যায়, মহসিন শেখ পুরুলিয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য কুবাদ শেখের ভাইপো ।
হাফিজুল নিলু/ আরএ/আরআইপি