অগ্রণী ব্যাংকের সোয়া ৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ, ক্যাশিয়ার গ্রেফতার

অগ্রণী ব্যাংক মেহেরপুর শাখা থেকে ৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় ক্যাশিয়ার মাহমুদুল করিমকে গ্রেফতার করেছে সদর থানা পুলিশ। সোমবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

মেহেরপুর শাখা ব্যবস্থাপক মেহেদি মাসুদ বাদী হয়ে মাহমুদুল করিমসহ তার পরিবারের ৫ জনের নামে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। গ্রেফতার মাহমুদুল বর্তমানে অগ্রণী ব্যাংক মেহেরপুরের বামন্দী শাখায় কর্মরত। তার বাড়ি সদর উপজেলার চাঁদবিল গ্রামে।

মামলার অভিযোগ, ২০১২ সাল থেকে চলতি বছরের মে মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত অগ্রণী ব্যাংক মেহেরপুর শাখায় কর্মরত থাকার পর মাহমুদুল করিম বামন্দী শাখায় বদলি হয়। মেহেরপুর শাখায় কর্মরত থাকার সময় ব্যাংকের আন্তঃশাখা অনলাইন লেনদেনের মাধ্যমে তার পরিবারের ৪ সদস্যর নামে ৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা প্রেরণ করেন। রোববার ব্যাংক কর্মকর্তাদের তদন্তে বিষয়টি ধরা পড়ার পর রাতে মামলা হয়।

তবে মাহমুদুল গ্রেফতার হলেও তার পরিবারের বাকি সদস্য পলাতক রয়েছে। তারা হলেন-মাহমুদুল করিমের স্ত্রী জেসমিন করিম, বড় ভাই সামিউল করিম, বোন নুরুন্নাহার ও চাচা কোমর আলী।

এ বিষয়ে অগ্রণী ব্যাংক মেহেরপুর শাখা ব্যবস্থাপক মেহেদি মাসুদ বলেন, আমি চার মাস আগে এ শাখায় যোগদান করার পরে বিষয়টি টের পাই। ব্যাংকের নিজস্ব অর্থ আন্তঃশাখা লেনদেনের মাধ্যমে মাহমুদুল করিম তার পরিবারের সদস্যদের হিসাব নম্বরে প্রেরণ করেন। পর্যায়ক্রমে তদন্ত করে বিষয়টি বের হয়ে আসে। প্রাথমিকভাবে ৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা লোপাটের তথ্য পাওয়া গেছে। তদন্ত শেষে এ পরিমাণ বাড়তে পারে। তবে লোপাট হওয়া অর্থ ব্যাংকের কোনো গ্রাহকের নয় বলে নিশ্চিত করেন তিনি।

সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম বলেন, গ্রেফতার মাহমুদুল করিমকে আদালতে সোপর্দ করা হচ্ছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

আসিফ ইকবাল/আরএ/পিআর