ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

দেখতে আসেনি কেউ

জেলা প্রতিনিধি | সাতক্ষীরা | প্রকাশিত: ০১:৪২ পিএম, ০৮ এপ্রিল ২০১৯

সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নের হাজরাখালি পাউবোর বেড়িবাঁধ ভেঙেছিল ২০১৮ সালের জুলাই মাসে। প্লাবিত হয়েছিল গ্রামের পর গ্রাম। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিলের নেতৃত্বে গ্রামবাসী বাঁধ বেঁধে বাঁচার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু এরপর আর সরকারি কোনো কর্মকর্তাকে বাঁধ সংস্কারে এলাকায় দেখা যায়নি।

এখানে ৫শ ফুটের বেশি এলাকাজুড়ে বাঁধ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। খোলপেটুয়া নদীর ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধের বর্ণনা দিয়ে আশাশুনি উপজেলা পরিষদের নব-নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান অসীম বরণ চক্রবর্তী বলেন, আশাশুনি উপজেলার মধ্যদিয়ে মরিচ্চাপ, খোলপেটুয়া, কপোতাক্ষ ও বেতনাসহ চারটি নদী প্রবাহিত। নদীবেষ্টিত এ উপজেলার অন্তত ১৪টি স্থানের বেড়িবাঁধ চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। উপজেলা সদরের দয়ারঘাট, বলাবাড়িয়া, খাজরা, খাজরা জেলেপাড়া, আনুলিয়া মনিপুর, হাজরাখালি, চাকলাসহ ১৪টি স্পটে বাঁধ প্রতিবছর ভেঙে যায়।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

পাউবোর উদাসীনতাকে দায়ী করে এ জনপ্রতিনিধি বলেন, সময় থাকতে বাঁধগুলো মেরামত করা হয় না। বাঁধ ভাঙার পর কর্মকর্তারা পরিদর্শন করেন। গত তিন মাস ধরে বেড়িবাঁধ সংস্কার না হওয়ায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের শতাধিক পরিবার।

satkhira-badh-(2)

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

দিনে দু’বার জোয়ার ভাটায় ভাসতে থাকা এ এলাকায় দেখা দিয়েছে সুপেয় পানির তীব্র সংকট। গ্রামের গবাদিপশু এখন এলাকা থেকে হারাতে বসেছে। প্রায় তিন শতাধিক মাছের ঘের নষ্ট হওয়ায় অনাহারে দিনপাত করছেন এলাকার মানুষ।

অসীম বরণ চক্রবর্তী আরও বলেন, প্রতাপনগরের সীমান্তবর্তী চাকলা গ্রাম। গ্রামটি দীর্ঘকাল ধরে জোয়ারের পানির চাপে পাউবোর বাঁধ ভেঙে এখন জোয়ার ভাটার পানিতে টইটম্বুর। বাঁধটি স্থায়ীভাবে নির্মাণ না করা হলে আশাশুনির মানচিত্র থেকে এলাকাটি হারিয়ে যেতে পারে।

বিজ্ঞাপন

এদিকে গত তিন মাস ধরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোনো কর্মকর্তা ভাঙন কবলিত বাঁধটি এক পলক দেখতেও আসেননি। ভাঙন প্রতিরোধের দাবিতে এলাকাবাসী প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ ও মানববন্ধন করেছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।

স্থানীয়রা বলছেন, দ্রুত বাঁধটি সংস্কার করা না হলে সামনে বর্ষা মৌসুমে চাকলা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে যে বাঁধ দেয়া আছে সেটিও ভেঙে পুরো প্রতাপনগর ইউনিয়ন প্লাবিত হতে পারে।

satkhira-badh-(2)

বিজ্ঞাপন

শিক্ষক আমিরুল ইসলাম জানান, চাকলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ভাঙন কবলিত এলাকায় হওয়ায় অনেক অভিভাবক তাদের বাচ্চাদের স্কুলে আসতে দিচ্ছেন না।

প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জাকির হোসেন জানান, স্থানীয়ভাবে মাটি না দেয়ার ফলে মুহূর্তে বেড়িবাঁধ ভেঙে চাকলার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। ২/৩ শ বিঘা চিংড়ি ঘের ও ফসলের ক্ষেত পানিতে তলিয়ে যায়। এতে হাজার হাজার টাকার চিংড়ি উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।

এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। অন্যদিকে আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলীফ রেজার মুঠোফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়।

বিজ্ঞাপন

আকরামুল ইসলাম/এফএ/এমকেএইচ

আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন