লকডাউনেও থেমে নেই বাংলাবাজার-শিমুলিয়া রুটে যাত্রী পারাপার
লকডাউনের প্রথম দিন থেকেই বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে বন্ধ রয়েছে নৌ চলাচল। ফেরিতে শুধুমাত্র পণ্যবাহী পরিবহন ও অ্যাম্বুলেন্স পার করা হচ্ছে। তবে যাত্রী পারাপার বন্ধ থাকার কথা থাকলেও চলাচল থেমে নেই।
শুক্রবার (৯ এপ্রিল) শিবচরের বাংলাবাজার ও কাঁঠালবাড়ী ঘাট ঘুরে দেখা গেছে এ চিত্র। বাংলবাজার ঘাট থেকে কিছু দূরে কাঁঠালবাড়ী ঘাট সংলগ্ন পদ্মার পাড় ধরে বিভিন্ন স্থান থেকে ট্রলারে করে পার করা হচ্ছে যাত্রীদের।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শিবচরের কাঁঠালবাড়ী ঘাট থেকে পদ্মা সেতুর জাজিরা পয়েন্ট এলাকার বিভিন্ন স্থান থেকেই ট্রলারে করে শিমুলিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রীদের পার করা হচ্ছে। শিমুলিয়া থেকেও যাত্রী নিয়ে ট্রলার ও স্পিডবোট যাত্রীদের নিয়ে শিবচরের বাংলাবাজার ঘাটে আসছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ট্রলার চালকেরা জানান, ‘যাত্রীদের চাপ থাকায় পারাপার করছি। লঞ্চ বন্ধ রয়েছে। কিন্তু যাত্রীদের আসা-যাওয়া তো আর বন্ধ না। অনেকেরই জরুরি প্রয়োজন থাকে’।
তিনি আরো বলেন, শিমুলিয়া থেকে ট্রলার এলে সেগুলো একই স্থানে থামানো হয় না। পুলিশ-সেনাবাহিনীর টহল থাকে। এজন্য পদ্মার পাড়ের বিভিন্ন জায়গায় যাত্রীদের নামানো হয়।'
শিবচরের বাংলাবাজার ঘাটের স্পিডবোট চালক মো. সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘বাংলাবাজার ঘাট থেকে কোনো স্পিডবোট যাত্রীদের পার করছে না। গত সোমবার থেকেই চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে শিমুলিয়া থেকে কিছু কিছু স্পিডবোট যাত্রীদের নিয়ে আসছে আবার এপার থেকেও যাত্রী নিয়েও যাচ্ছে’।

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাবাজার ঘাটের কোনো স্পিডবোট চালক যাত্রী পারাপারের সঙ্গে জড়িত নয়। তারা গত পাঁচদিন ধরে বেকার পড়ে আছে।'
ঢাকা থেকে আসা যাত্রী মো. আকতার হোসেন বলেন, ‘লঞ্চ, স্পিডবোট বন্ধ। ফেরিতেও যাত্রীদের উঠতে দেয়া না। তাই ট্রলারে করে পার হয়েছি। একশ টাকা ভাড়া ট্রলারে। আবার কখনো দুইশ টাকা দিতে হচ্ছে’।
আরেক যাত্রী জুলহাস মিয়া বলেন, ‘ঘাট থেকে কিছুটা দূরে কয়েকটা স্পিডবোট যাত্রীদের পার করছে। তার একটিতেই এসেছি। ভাড়া নিয়েছে ৩০০-৪০০ টাকা।'
বিআইডব্লিউটিসি'র বাংলাবাজার লঞ্চ ঘাটের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আক্তার হোসেন বলেন, ‘লকডাউনের দিন থেকেই লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ রয়েছে। তবে যাত্রীরা ঝুঁকি নিয়ে ট্রলারে পার হচ্ছেন বলে খবর পাচ্ছি।'
বাংলাবাজার ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সীমিত আকারে তিন-চারটি ফেরি চলাচল করছে জরুরি পরিবহন পারাপারের জন্য। তবে যাত্রীদের পার করা হচ্ছে না’।
এ কে এম নাসিরুল হক/এসএমএম/জেআইএম