ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

লবণাক্ততা কমে স্বাভাবিক সুগন্ধা-বিষখালী নদী

জেলা প্রতিনিধি | ঝালকাঠি | প্রকাশিত: ০৭:২২ পিএম, ২৭ এপ্রিল ২০২১

লবণাক্ততা কমে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছে ঝালকাঠির সুগন্ধা ও বিষখালী নদীর পানি। বৃষ্টি না হলেও চলতি পূর্ণিমার জোয়ারে নদীর পানি মিষ্টি স্বাদে রূপান্তর হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মো. ফজলুল হক মিয়া।

তিনি জানান, ঝালকাঠির সুগন্ধা ও বিষখালী নদীর পানির চাপ কম থাকায় এপ্রিলের শুরুতে পূর্ণিমার জোয়ারে সাগরের লবণ প্রবেশ করে। ক্রমান্বয়ে লবণাক্ততা কমে চলতি পূর্ণিমার জোয়ারে নদীর পানি মিষ্টি স্বাদে রূপ নেয়।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, এপ্রিল মাসের শুরু থেকে হঠাৎ করেই সুগন্ধা ও বিষখালী নদীর ওপর নির্ভরশীল মানুষরা পানি লবণাক্ততা অনুভব করতে শুরু করেন। নদী তীরবর্তী মানুষ দৈনন্দিন কাজে এ নদীর পানি ব্যবহার করলেও এখন তা স্বাভাবিকভাবে সম্ভব হচ্ছিল না। তবে মিঠাপানির এ দুটো নদীতে কিছুটা লবণাক্ততা ছিল তা নিশ্চিত করেছেন পরিবেশবিদরাও।

বিশেষ করে ২০২০সাল থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত এ নদীর পানিতে তড়িৎপরিবাহিতা অনেক কম থাকলেও গত মার্চ মাসে বেড়ে গেছে কয়েকগুণ। এমনকি গত ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চে পানির তাপমাত্রাও বেড়ে গেছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, শুষ্ক মৌসুমে উজানের পানি কম প্রবাহিত হওয়া এবং বৃষ্টিপাত না হওয়া, দূষণসহ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই সুগন্ধা ও বিষখালীর মতো মিঠা নদীর পানিও এখন লবণাক্ত হয়ে উঠেছে।

jagonews24

এ দুটো নদীর পানির ওপর নির্ভরশীলদের মতে, চলতি এপ্রিল মাসের শুরুতে পূর্ণিমার জোয়ারে আসা সাগরের পানি থেকেই নদীর পানিতে লবণের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। পৌর মিনি পার্ক ও ডিসি পার্ক সংলগ্ন সুগন্ধা নদীতে গোসল করতে গিয়ে অনেকেই পানি মুখে দিয়ে লবণের উপস্থিতি লক্ষ্য করেন।

প্রথমে বিষয়টি নিয়ে ভ্রুক্ষেপ না করলেও, পুরাতন কলেজ খেয়াঘাট থেকে স্থানীয় দোকানিরা চায়ের পানি সংগ্রহ করতে গেলে তাতেও লবণের উপস্থিতি লক্ষ্য করেন। আর এরপর থেকেই নদীর পানি হঠাৎ করেই লবণাক্ত হওয়ার বিষয়টি লোকমুখে ছড়িয়ে পরে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে বেশ শোরগোল শুরু হয়ে যায়।

তবে গত কয়েকদিন ধরে পানিতে লবণাক্ততার উপস্থিতি একদম নেই বললেই চলে। স্বাভাবিক মিষ্টি পানির স্বাদে রূপ নিয়েছে ঝালকাঠির প্রধান দুটি নদী সুগন্ধা ও বিষখালী। সেই পূর্বের মতোই এখন প্রতিদিনের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালাচ্ছেন নদী তীরের বাসিন্দারা।

তীব্র দাবদাহে অতিষ্ঠ হয়ে দুপুরে অনেকে গোসলও করছেন নদীর পানিতে। কৈশোরদের দুরন্তপনার বিষয়টিও লক্ষ্য করা গেছে।

মো. আতিকুর রহমান/এসজে/এমকেএইচ