শিশু কোলে মোটরসাইকেলে ঝুঁকিপূর্ণ ঈদযাত্রা
কাল ঈদ। তাই যেভাবেই হোক বাড়ি পৌঁছাতে হবে। তবে বাংলাবাজার ঘাটে এসে পরিবহন সংকটে পড়ছেন দূরপাল্লার যাত্রীরা। এজন্য ঝুঁকি নিয়ে ঢাকা থেকে আসা ঈদে দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা বাংলাবাজার ঘাট থেকে মোটরসাইকেলে চড়ে যাচ্ছেন গন্তব্যে। সঙ্গে এক দেড় বছরের শিশু বাচ্চাও রয়েছে। দূরপাল্লার বাস ও গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ছোট ছোট শিশুসন্তানকে নিয়ে মোটরসাইকেলে তিনগুণ ভাড়া দিয়ে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে যাত্রীদের।

সরেজমিন ঘাট ঘুরে দেখা যায়, ঘাটে ঈদে ঘরেফেরা দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীদের চাপ। ১৬টি ফেরি চলাচল করছে। ফেরিগুলো থেকে একযোগে হাজার হাজার যাত্রী নামছে। তখন ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেল চালকরা ডাকাডাকি শুরু করে দিচ্ছেন। বরিশাল, নড়াইল, বরগুনা, ফরিদপুরসহ দূর-দূরান্তে মোটরসাইকেলযোগে যেতে হচ্ছে যাত্রীদের। চালকদের অনেকের মাথায় নেই হেলমেট। যাত্রীদের কেউ কেউ ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেলে করে গন্তব্যে রওনা দিচ্ছেন। আবার অনেকে ব্যক্তিগত মোটরসাইকেরে করেই বাড়ির উদ্দেশে রওনা হচ্ছেন। তবে বাংলাবাজার ঘাটে ঢাকাগামী যাত্রীদের কোনো চাপ নেই।

খুলনাগামী আনোয়ার হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘ঈদে বাড়িতে যাব। সবকিছু বন্ধ, তাই ঢাকা থেকে শিমুলিয়া ঘাটে এসেছি। কোনো রকমে ফেরি পার হয়ে বাংলাবাজার ঘাটে নেমেছি। বাস না থাকায় মোটরসাইকেলেই যেতে হবে। যদিও ৩শ টাকার ভাড়া এক হাজার টাকা গুনতে হবে।’

নড়াইলে যাবেন সেলিনা আক্তার। তিনি বললেন, ‘দুই বছরের কোলের শিশুকে নিয়ে দাদু বাড়ি নড়াইলে ঈদ করতে যাব। ঘাটে কোনো বাস নেই। ইজিবাইকেও অতদূর যাওয়া সম্ভব নয়। তাই ১৪শ টাকা ভাড়ায় মোটরসাইকেলেই রওনা হয়েছি।’

শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিরাজ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘বাংলাবাজার ঘাটে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীর অনেক বেশি চাপ। যে যেভাবে পারছেন সেভাবেই চলে যাচ্ছেন। বারবার তাদের সতর্ক করে দেয়া হলেও জীবনের ঝুকি নিয়েই যাত্রীরা নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছেন।’
এ কে এম নাসিরুল হক/এসআর/এমএস