ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জমি দখলের চেষ্টা বাদীর

জেলা প্রতিনিধি | নড়াইল | প্রকাশিত: ০৪:৪৬ পিএম, ১০ আগস্ট ২০২১

আদালতের ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে নড়াইলের বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিদ্দিকুর রহমান চৌধূরীর জমি দখলচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে মো. আরজ আলী মোল্যা নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। বাদী আরজ আলী আদালতের আদেশ না মেনে ওই জমিতে বাঁশের খুঁটি গেড়ে একচালা ঘর তুলেছেন।

নড়াইলের কালিয়া উপজেলার নড়াগাতি থানার কেশবপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কেশবপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিদ্দিকুর রহমান চৌধূরী ১৮ শতক জমি কিনে ভোগদখল করে আসছিলেন। কিন্তু ওই জমি নিজের দাবি করে গত ১৯ জুলাই আদালতে অভিযোগ করেন আরজ আলী। পরে ওই জমির ওপর স্থিতাবস্থা রেখে ১৪৪ ধারা জারি করেন আদালত। আদালতের নির্দেশে জয়নগর ইউনিয়নের উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা (তহশিলদার) মো. ইদ্রিস আলী প্রতিবেদন তৈরি করতে ৮ আগস্ট সরেজমিনে ওই জমিতে যান।

এসময় তিনি দেখতে পান, বাদী কেশবপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. আরজ আলী মোল্যা আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জমির মাঝখানে বাঁশের একচালা ঘর তৈরি করছেন।

jagonews24

এ বিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিদ্দিকুর রহমান চৌধূরী জাগো নিউজকে বলেন, ৬ জুলাই ১৯৯১ সালে কেশবপুর গ্রামের রাজেন্দ্রনাথ বিশ্বাসের কাছ থেকে বর্তমান কেশবপুর মৌজার ৪০ নম্বর বিআরএস খতিয়ানের ২১২ হাল দাগের ১৮ শতক জমি কিনে খাজনা দিয়ে ভোগদখল করে আসছি। আমার সন্তানরা ঢাকায় চাকরি করায় আমি ও স্ত্রী ঢাকায় বসবাস করি। এ সুযোগে মো. আরজ আলী মোল্যা আমার জমি অবৈধভাবে দখলে নিতে ষড়যন্ত্র করছেন।

জমির ওপর বাঁশের একচালা ঘর তৈরি প্রসঙ্গে নড়াগাতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. ইকরাম হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ৮ আগস্ট আদালতের কারাবিধি ১৪৪ ধারা অমান্য করে আরজ আলী মোল্যার বাঁশের ঘর তৈরির খবর পেয়ে আমরা কাজ বন্ধ করে দেই।

এ বিষয়ে বাদী মো. আরজ আলী মোল্যা বলেন, এখানে আমার ৩৬ শতক জমি আছে এবং আমি ভোগদখল করে আসছি।

জয়নগর ইউনিয়নের উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা (তহশিলদার) মো. ইদ্রিস আলী বলেন, আদালতের নির্দেশে সরেজমিনে দেখেছি। সত্য ঘটনা আদালতকে জানাবো।

এ বিষয়ে কালিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জহিরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, জোরপূর্বক বাঁশের একচালা ঘর তৈরি করলেই জমির দখলকারী বা মালিক বলে ধরে নেওয়া যায় না। কাগজপত্র ও সংশ্লিষ্ট সব বিষয় যাচাই-বাছাই করেই এ বিষয়ে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।

হাফিজুল নিলু/এসজে/এএ/এএসএম