ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালাতে ৫ আ’লীগ নেতার পদত্যাগ

জেলা প্রতিনিধি | গোপালগঞ্জ | প্রকাশিত: ০৫:২০ পিএম, ০১ নভেম্বর ২০২১

ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালাতে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে পাঁচ আওয়ামী লীগ নেতা পদত্যাগ করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

রোববার (৩১ অক্টোবর) রাতে কাশিয়ানী সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন আনু ও সাধারণ সম্পাদক মো. সিরাজ মোল্যা স্বাক্ষরিত পাঁচটি পত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এর আগে, ২৮ অক্টোবর পদত্যাগকারী নেতারা পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে পত্র দিয়েছিলেন।

দল থেকে পদত্যাগ করা নেতারা হলেন- কাশিয়ানী সদর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মহসিন শেখ, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা সম্পাদক এম লিয়াকত হোসেন টুলু, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক জাহিদ হাচান আরজিন, সহপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শেখ সমির হোসেন ও কার্যকরী সদস্য সাহাদাত হোসেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন আগামী ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে গোপালগঞ্জ-১ আসনের অন্তর্গত কাশিয়ানী সদর, মহেশপুর, রাতইল, পারুলিয়া, সাজাইল, মাহামুদপুর ও রাজপাট ইউনিয়নে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হবে। তবে গোপালগঞ্জ-২ আসনের অন্তর্গত ওড়াকান্দি, বেথুড়ী, হাতিয়াড়া, সিংগা, নিজামকান্দি, পুইশুর ও ফুকরা ইউনিয়নে উন্মুক্তভাবে নির্বাচন হবে।

কাশিয়ানী উপজেলার সদর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. মশিউর রহমান খানের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে নির্বাচনে লড়ছেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী খোকন সিকদার। এ নির্বাচনকে কেন্দ্র ওই পাঁচ নেতা দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন। পরে তাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে তাদেরকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

পদত্যাগ করা মো. মহসিন শেখ বলেন, আমি এখন খুব অসুস্থ। আমার দু দুবার হার্টে রিং পরাতে হয়েছে। বর্তমানে চিকিৎসার জন্য ঢাকা আছি। অসুস্থ শরীর নিয়ে দল চালানো সম্ভব হচ্ছে না। তবে দল থেকে অব্যাহতি নিলেও এখনো আমি আওয়ামী লীগ করি। আওয়ামী লীগের নির্দেশনা অনুযায়ী আমার কর্মকাণ্ড চলবে।

আরেক নেতা শেখ সমির হোসেন বলেন, গোপালগঞ্জ আওয়ামী লীগের ঘাঁটি। এখানে ১০০ ভাগ লোক আওয়ামী লীগ করে। এরপরও এখানে ১৪টির মধ্যে সাতটিতে দলীয় প্রার্থী ও সাতটিতে উন্মুক্ত নির্বাচন দেওয়া হয়েছে। আমরা দলীয় প্রার্থী না দিয়ে উন্মুক্তভাবে নির্বাচন দিতে বলেছিলাম কিন্তু তা দেওয়া হয়। কাশিয়ানী সদর ইউনিয়নে যাকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী করা হয়েছে তিনি অযোগ্য। যোগ্য ব্যক্তিকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। যে কারণে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে না থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি নিয়েছি।

কাশিয়ানী সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন আনু বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে নয় তারা শারীরিক অসুস্থতা দেখিয়ে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলেন। তাদের দেওয়া পত্র গ্রহণ করে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, দলীয় প্রার্থী যারা হয়েছেন তাদের পক্ষে সবাই কাজ করছেন। এখানে কোনো বিদ্রোহী প্রার্থী নেই তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী আছেন। আওয়ামী লীগের সব নেতাকর্মী দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন।

কাশিয়ানী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোক্তার হোসেন মিয়া বলেন, ওই পাঁচজন দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি চাইলে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। কেউ দলে থাকতে না চাইলে রাখার কোনো প্রয়োজন নেই।

অব্যাহতি পাওয়া ওই নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবেন কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তারা স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতেই অব্যাহতি নিয়েছেন। তা না হলে তারা কেন নিবেন।

মেহেদী হাসান/এসজে/জিকেএস