ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

ঝালকাঠি হাসপাতালে সরকারি ওষুধ দিতে ফার্মাসিস্টের গড়িমসি

জেলা প্রতিনিধি | ঝালকাঠি | প্রকাশিত: ০৪:০০ পিএম, ২৭ জানুয়ারি ২০২২

ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা ঠিকমতো সরকারি ওষুধ পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। হাসপাতালের ফার্মাসিস্ট পুলক ঘরামির বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেছেন রোগীরা।

তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্রে সরকারি ওষুধ লিখে দেওয়া হলেও সঠিকভাবে তা বিতরণ করছেন না পুলক ঘরামি। যেসব ওষুধে ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সম্পদ। ক্রয়-বিক্রয় আইনত দণ্ডনীয়’ লেখা নেই সেসব ওষুধ রোগীদের না দিয়ে আত্মসাত করছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভুক্তভোগীর অভিযোগ, তিনি দাঁতব্যথার সমস্যা নিয়ে সোমবার (২৪ জানুয়ারি) সদর হাসপাতালের দন্তচিকিৎসক জ্যোতিষ সিকদারকে দেখান। তিনি ব্যবস্থাপত্রে সেফুর ২৫০ (সেফুরোক্সিম বিপি ২৫০), ইসোটিড-২০ (ইসোমিপ্রাজল ২০), কিটোরোলাক-১০ ও মেট্রানিডাজল ৪০০ লিখে দেন। হাসপাতালে সরকারি ওষুধ সরবরাহের ব্যবস্থা থাকায় চারটি ওষুধই তিনি স্লিপে লিখে দেন।

ঝালকাঠি হাসপাতালে সরকারি ওষুধ দিতে ফার্মাসিস্টের গড়িমসি

পরে স্লিপ নিয়ে ওষুধ বিতরণ কেন্দ্রে গেলে দায়িত্বরত ফার্মাাসিস্ট পুলক ঘরামি তিনটি ওষুধ দেন। আরেকটি ওষুধ না দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি পরে ওই ওষুধটি দেন।

তিনদিন পর বৃহস্পতিবার (২৬) সকালে পুনরায় দন্তচিকিৎসকের কাছে গেলে তিনি একই ওষুধ লিখে দেন। পরে স্লিপ নিয়ে ফার্মাসিস্টের কাছে গেলে তিনি আবার তিনটি ওষুধ দেন। বাকি ওষুধ সেফুর-২৫০ চাইলে তিনি ওষুধ, স্লেপ ও ব্যবস্থাপত্র নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যেতে বলেন। পরে শক্তভাবে তাকে চ্যালেঞ্জ করলে বাকি ওষুধটা বের করে দিয়ে বলেন, ‘ভুল হইছে’।

ঝালকাঠি হাসপাতালে সরকারি ওষুধ দিতে ফার্মাসিস্টের গড়িমসি

ওই ভুক্তভোগী অভিযোগ করে বলেন, যে দুটি ওষুধের প্যাকেটে সরকারি সিল নেই, সে দুটি ওষুধের ক্ষেত্রে দু’দফায় ‘ভুল’ হয়েছে বলেন ফার্মাসিস্ট পুলক ঘরামি। এটি কি ইচ্ছাকৃত ভুল নাকি আত্মসাতের জন্য কৃত্রিম সংকট তা খতিয়ে দেখার দাবি জানান তিনি।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ফার্মাসিস্ট পুলক চন্দ্র ঘরামি বলেন, ‘ভাই, আমার প্রেসক্রিপশন বুঝতে ভুল হয়েছে।’ ওষুধ বলে দেওয়ার পরও তো আপনি দিতে চাচ্ছিলেন না, এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘ভুল হয়েছে। আর কিছু বলার বা করার নেই।’

এ বিষয়ে সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. আমির হোসেন বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ করেননি। আপনি যখন বলেছেন ফার্মাসিস্টকে ডেকে জিজ্ঞাসা করা হবে।’

আতিকুর রহমান/এসআর/জেআইএম