শৈলকুপায় স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর অফিস-প্রচার মাইক ভাঙচুর
স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করা হয়
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার নিত্যানন্দপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্বাচনী অফিস ও প্রচার মাইক ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রার্থী ও তার কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) বিকাল ৫টার দিকে ইউনিয়নের শেখরা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইউনিয়নের শেখরা বাজারে নৌকার প্রার্থী মফিজ উদ্দীন বিশ্বাসের পক্ষে লাঠি-সোটা নিয়ে মিছিল বের করেন কর্মী-সমর্থকরা। এক পর্যায়ে তারা মোটরসাইকেল প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ফারুক হোসেনের নির্বাচনী অফিস ও প্রচার মাইক ভাঙচুর করেন।
এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। লাঠি-সোটা ও দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে মুখোমুখি অবস্থান নেন তারা এবং সংঘাতময় বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

শৈলকুপা থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মহসিন হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও আবারও সংঘাতের শঙ্কায় সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে। তবে কোনো পক্ষই এখন পর্যন্ত থানায় মামলা দেয়নি।
স্বতন্ত্র প্রার্থী ফারুক হোসেন অভিযোগ করে বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছি। আমার প্রতিপক্ষ নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে বহিরাগতদের এলাকায় নিয়ে এসে একের পর এক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। আমার ইউনিয়নের কয়েটি হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় রাতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে গিয়ে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। আমার কর্মী-সমর্থকদের বাড়ি থেকে বের হতে দিচ্ছে না। আমার নির্বাচনী অফিস ও প্রচার মাইক ভাঙচুর করা হয়।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করে নৌকার প্রার্থী মফিজ উদ্দীন বিশ্বাস বলেন, এসব কিছুই ঘটেনি। ওরা আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
অষ্টম ধাপের নির্বাচনে ১০ ফেব্রুয়ারি নিত্যানন্দপুর ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
আব্দুল্লাহ আল মাসুদ/এসজে/এএসএম