‘পুলিশের নির্যাতনে’ নিহত ব্যক্তিকে দাফন, ঘটনা তদন্তে কমিটি
মঙ্গলবার জানাজা শেষে নিহত উজির মিয়াকে দাফন করা হয়
সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে ‘পুলিশের মারপিটে’ উজির মিয়া নামের এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন জেলা প্রশাসক। কমিটিকে বৃহস্পতিবারের (২৪ ফেব্রুয়ারি) মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, মরদেহের ময়নাতদন্তের পর মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় পাগলা হাইস্কুল মাঠে জানাজা শেষে শত্রুমর্দন গ্রামের বাঘেরকোণা পঞ্চায়েত কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
মারা যাওয়া ওই ব্যক্তির নাম উজির মিয়া (৪৫)। রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নিহত ব্যক্তির স্বজনদের দাবি, এলাকায় গরু চুরির ঘটনায় উজির মিয়াকে সন্দেহমূলকভাবে আটক করে পুলিশ। থানায় নিয়ে তাকে মারধর করা হয়। গুরুতর আহত উজির মিয়াকে প্রথমে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রোববার রাতে তিনি মারা যান।
এ ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মরদেহ নিয়ে সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন এলাকাবাসী। বিক্ষোভে তোপের মুখে পড়েন শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আনোয়ার উজ জামান। পরে দ্রুত স্থান ত্যাগ করতে হয় গিয়ে মরদেহের ওপর দিয়ে চালক গাড়ি তুলে দেন বলে অভিযোগ বিক্ষোভকারীদের।

সোমবার সন্ধ্যায় নিহত উজির মিয়ার ছয় নিকটাত্মীয়ের উপস্থিতিতে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। এসময় উজির মিয়ার শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে বলে দাবি স্বজনদের।
নিহত ব্যক্তির ছোট ভাই গোলাম সারোয়ার মাসুম জাগো নিউজকে বলেন, ‘সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির সময়ও উজির মিয়ার মাথায় ও শরীরে আঘাতের চিহৃ দেখা গেছে। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।’
জেলা সিভিল সার্জন ডা. আহমদ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, হাসপাতালে দায়িত্বশীল একটি চিকিৎসক দল ময়নাতদন্তের সময় উপস্থিত ছিল। দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।
সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ঘটনা তদন্তের জন্য তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছেন জেলা প্রশাসক। এ ঘটনায় কেন এতো মানুষ বিক্ষুব্ধ হয়ে রাজপথে নামলেন তা তদন্ত করে দেখার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে আরেকটি কমিটি করা হবে।
লিপসন আহমেদ/এসআর/এএসএম