তাহিরপুরে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধসহ আহত ২০
সংঘর্ষে নারীসহ কয়েকজন আহত
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে সাংবাদিকের ওপর হামলার প্রতিবাদের মানববন্ধনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১৩ জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার পূর্ব বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধরা হলেন- ডালিয়া নার্গিস সুমি (৫০), বাবলী চৌধুরী (৩৫), আনজু মিয়া (৩০), অনিক মিয়া (২৫), অঙ্কন গণি (১২), নেজারুল ইসলাম (৩০), মাসুম মিয়া (২২), রুমেন মিয়া (৩০), রুনা বেগম (৪৫), তানসেন তালুকদার তুষার (৩০), রাসেল মিয়া (৩০), পারভিন আক্তার (৪৫), এমদাদুল মিয়া (৩৫)। বাকিদের নাম তাৎক্ষণিক জানা যায়নি।
গুরুতর আহত ডালিয়া নার্গিস সুমি, বাবলী চৌধুরী, আনজু মিয়া, অনিক মিয়া ও অঙ্কন গণিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে ঘটনাস্থল থেকে কামরুল ইসলাম, বদরুজ্জামান, আসাদ মিয়া ও সৈয়দ গোলাম হোসেন নামের চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, সাংবাদিক রাজন চন্দ ও উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক হাফিজ উদ্দিনের মধ্যে গত কয়েকদিন ধরে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাজন চন্দের বাবা স্থানীয় সিনিয়র সাংবাদিক রমেন্দ্র নারায়ণ বৈশাখের ওপর হাফিজ উদ্দিনের সমর্থকরা হামলা করায় দুইপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। মঙ্গলবার বিকেলে রমেন্দ্র নারায়ণ বৈশাখের ওপর হামলার ঘটনায় মানববন্ধন করা হয়। মানববন্ধনের পর সাংবাদিক রোকন উদ্দিনের ভাতিজা ছাত্রলীগ নেতা তানসেন তালুকদার তুষারকে রাস্তায় পেয়ে মারধর করে যুবলীগ নেতা হাফিজ উদ্দিনের ভাতিজা আবুল বাশার। এনিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় কমপক্ষে ২০ জন আহত হন। পুলিশ সংঘর্ষ থামাতে রাবার গুলি ছোঁড়েন।
তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মির্জা রিয়াদ জানান, ছয় পুলিশ সদস্যসহ আহত ১৯ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। ১৩ জন গুলিবিদ্ধ ছিলেন। চারজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেটে স্থানান্তর করা হয়েছে।
তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ তরফদার জানান, সংঘর্ষ ঠেকাতে সাত রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে চারজনকে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
লিপসন আহমেদ/আরএইচ/এএসএম