জামালপুরে নৌকা পারাপার নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ১৫
সংঘর্ষে আহতদের কয়েকজন
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে নৌকা পারাপার নিয়ে দুইদল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে নারী-পুরুষসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার (৯ মার্চ) সকালে উপজেলার আওনা ইউনিয়নের কুলপাল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- উপজেলার আওনা ইউনিয়নের আশরাফ মণ্ডলের ছেলে মো. আক্তার মিয়া (৪৫), রফিক মিয়া (৪০), আনিস মিয়া (৩৫) ও সোহেল রানা বাবু (৩০) এবং বেল্লাল হোসেনের ছেলে মো. সোহাগ হাসান (১৬), আওনা-ঘুইঞ্চা চরের আবেদ আলীর ছেলে ছানোয়ার হোসেন (২৭) ও একই এলাকার আচ্চু মিয়ার ছেলে মোখলেছুর রহমান (২৫)।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, নৌকা পারাপার নিয়ে মঙ্গলবার সকালে কুলপাল গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল হকের ছেলে মো. সুজন মিয়ার সঙ্গে আওনা চরের কাদেরের ছেলে এরশাদ মিয়ার বাগবিতণ্ডা হয়। এর জেরে সন্ধ্যায় এরশাদ মিয়ার স্বজনরা এসে উজ্জ্বলের দোকানের সামনে সোহেলকে (২২) মারধর করে সুজনকে (২০) উঠিয়ে নিয়ে যায়। পরে রাতেই আবেদ আলী নামের স্থানীয় একজনের মাধ্যমে অক্ষত অবস্থায় সুজনকে ফেরত দেওয়া হয়। নান্নু নামের এক নেতা আবেদ আলীকে ফোনে হুমকি দিলে বিষয়টি স্থানীয়দের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। পরে বুধবার বিষয়টি দুইদল গ্রামবাসীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সোহেল রানা বাবু অভিযোগ করে জাগো নিউজকে বলেন, কোনো কারণ ছাড়াই আবেদ আলীর লোকজন আমাকে এবং আমার ভাইদের পিটিয়ে আহত করেন। বাড়ি ঘরে হামলা চালিয়েছেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে আবেদ আলী জাগো নিউজকে বলেন, নৌকা পারাপার নিয়েই ঘটনার সূত্রপাত। এ ঘটনায় সুজন নামের একজনকে ধরে নেওয়ার খবর পেলে তাকে উদ্ধার করে বাবা-মায়ের কাছে ফেরত দেই। ওই দিন রাতে নান্নু নেতা আমাকে গালিগালাজ করে মেরে ফেলার হুমকি দেন। বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে সকালে গ্রামবাসীর মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাগো নিউজকে বলেন, ঘটনাটি জানার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এখনও পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মো. নাসিম উদ্দিন/আরএইচ/জিকেএস