শায়েস্তাগঞ্জে পাহাড়ি ঢলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, সবজির ব্যাপক ক্ষতি

টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হয়েছে শায়েস্তাগঞ্জের নিম্নাঞ্চল। এতে করে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে শাক সবজিসহ বিভিন্ন ফসলের।

আকস্মিক এ বন্যায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার ১৫টি গ্রাম। জলমগ্ন হয়ে পড়েছে অনেক এলাকা। তলিয়ে গেছে বিভিন্ন রাস্তাঘাট। অনেক বাড়িঘরে উঠেছে পানি। কয়েক ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে সবজির ক্ষেত। ভেসে গেছে পুকুর ও ফিসারীর মাছ। রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ার কারণে মানুষ চলাচলের জন্য ব্যবহার করছে নৌকা ও কলা গাছের ভেলা।

পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় ওই তিন ইউনিয়নের ১৫টি গ্রামের এক হাজার একর ফসলের মাঠে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশেষ করে সবজিতলা ২/৩ ফুট পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। এদিকে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে খরস্রোতা খোয়াই ও সুতাং নদীর পানি বিপৎসীমার কাছ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ফরিদ মিয়া বলেন অনেক কষ্ট করে ৩২ শতক জায়গাতে লাউ, চিচিঙ্গা, ঢেঢ়শসহ বিভিন্ন প্রজাতির সবজির ক্ষেত বানের পানিতে ডুবে গেছে। অনেক টাকা খরচ করে সবজিগুলো লাগায়। কিন্তু পানির কারণে আর পারলাম না।

মররা গ্রামের আরেক কৃষক মমরাজ মিয়া বলেন সবজি ক্ষেত তো শেষই এখন দেখতাছি আমাদের গরু ছাগল ও না খাইয়া মরবো। তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে গো খাদ্যের।

ক্ষতিগ্রস্ত মাছের খামারের মালিক সুমন মিয়া জানান উজানের পানির কারণে আমার অনেক বড় ক্ষতি হইলো। প্রায় ২ লাখ টাকার মাছ ভেসে গেল। আমার মতো অনেকেরই এ রকম ক্ষতি হইছে।

এ ব্যাপারে শায়েস্তাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বুলবুল খান জাগো নিউজকে বলেন, টানা বৃষ্টিপাত আর পাহাড়ি ঢলে শায়েস্তাগঞ্জ ইউনিয়নের বেশ কয়েক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। অনেকের ফসলের ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে।

শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুকান্ত ধর বলেন, উপজেলায় মোট সবজি ছিল প্রায় ১০৫ হেক্টর। এর মধ্যে ৬০ হেক্টর সবজি পুরোপুরি বিনষ্ট হয়ে গেছে। বাকি সবজিগুলো কম বেশি নষ্ট হয়েছে। খুব অল্প সবজির জমি হয়ত রিকভার করবে। পানি সরে গেলে প্রকৃত ক্ষতির হিসাবটা আমরা করতে পারব।

কামরুজ্জামান আল রিয়াদ/জেএস/এমএস