প্রেমে সাড়া না দেওয়ায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, নাটোরে চারজনের কারাদণ্ড
প্রতীকী ছবি
নাটোরের বাগাতিপাড়ার দয়ারামপুর স্যাপার কলেজের এক ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় চারজনের ১০ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আসামিদের তিনজন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাদের সেফ হোমে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারা প্রাপ্তবয়স্ক হলে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নাটোর শিশু ও নারী নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আব্দুর রহিম এ রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে একজন প্রাপ্তবয়স্ক রয়েছেন। তিনি হলেন লালপুর উপজেলার দাংগাপাড়া এলাকার মহরম আলীর ছেলে তুষার আলী (১৮)।
নাটোর জজ কোর্টের পিপি সিরাজুল ইসলাম রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বাগাতিপাড়ার দয়ারামপুর স্যাপার কলেজের ওই ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য বিভিন্নভাবে প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন একই কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র তুষার আলী। কিন্তু ওই তরুণী তার প্রেমের প্রস্তাবে রাজি হননি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ২০১৭ সালের ১২ জুলাই পানির সঙ্গে চেতনানাশক খাইয়ে তাকে অপহরণ করেন চার শিক্ষার্থী।
সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে তাকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যান। পরে তারা পালাক্রমে ধর্ষণ এবং ভিডিও ধারণ করেন। পরে ওই ভিডিও ব্ল্যাকমেল করে বিভিন্ন সময় ধর্ষণ করতেন তারা।
দিন দিন ধর্ষণের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় হারপিক পানে আত্মহত্যার চেষ্টা চালান ওই তরুণী। পরে চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে উঠলে ঘটনার বিস্তারিত পরিবারকে জানান তিনি। পরবর্তী সময়ে তরুণীর মা বাদী হয়ে বাগাতিপাড়া থানায় চারজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। মামলায় সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে চার আসামিকে ১০ বছর কারাদণ্ড দেন আদালত।
রেজাউল করিম রেজা/এসআর/জিকেএস