ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

৬ দিনেও খোঁজ মিলেনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে নিখোঁজ যুবকের

জেলা প্রতিনিধি | চাঁপাইনবাবগঞ্জ | প্রকাশিত: ০৪:০৩ পিএম, ২৫ ডিসেম্বর ২০২২

ছয়দিনেও খোঁজ মিলেনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে গরু আনতে যাওয়া শামিম রেজার (২৫)। নিখোঁজের স্বজনদের অভিযোগ, বিষয়টি নিয়ে বিজিবি-বিএসএফের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের সহযোগিতা মিলছে না।

এদিকে ছেলের মুখ দেখতে অপেক্ষার প্রহর গুনছেন মা শেরিনা বেগম ও বাবা বাইরুল ইসলাম। শামিম উপজেলার দুলর্ভপুর ইউনিয়নের সড়াপাড়া গ্রামের বাইরুল ইসলামের ছেলে।

স্বজনরা বলছেন, গরু আনতে গিয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে শামিম নিহত হয়েছে শুনেছি। তবে বিজিবির সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা শামিমের মরদেহ ফেরত চাই।

নিহতের মা শেরিনা বেগম বলেন, ঘটনার কয়েকদিন আগেই আমার ছেলে নওগাঁ থেকে ধান কেটে এসেছে। শামিম কোনোদিন ভরতে যায়নি। তবে এবার কেন এসব কাজে গিয়ে জীবনটা দিতে গেল। এ কথা ভেবে দুশ্চিন্তায় আমার রাতে ঘুম আসে না। সারাক্ষণ রাস্তায় দিকে তাকিয়ে থাকি কখন আমার শামিম বাড়ি আসবে। কিন্তু এ মন যে বোঝে না, আমার শামিম যে বেঁচে নেই।

শামিমের বাবা বাইরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, গত ১৮ ডিসেম্বর বাড়ি থেকে বের হয়েছিল শামিম। রাতে বাড়ি আসেনি। পরদিন সকালে লোখ মুখে শুনতে পাই সে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়েছে। তবে এখনো আমার ছেলের মরদেহের কোনো খোঁজ পেলাম না। আমরা বিজিবির সঙ্গে কথা বলেছি। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি।

শামিমের চাচা জিয়াউর রহমান বলেন, ১৮ ডিসেম্বর গরু আনতে কয়েকজন রাখালের সঙ্গে ভারতে যায় শামিম। অন্যরা বাড়ি ফিরে এলেও ৬ দিন ধরে নিখোঁজ শামিম। ফিরে আসা অন্য রাখালরা জানায়- শামিম বিএসএফেরর গুলিতে মারা গেছে। কিন্তু এখন পযন্ত শামিমের মরদেহের কোনো খোঁজ পাচ্ছি না।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৫৩ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাহিদ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, আপনি যেমন স্থানীয়দের কাছে শামিম নিহতের ঘটনা শুনেছেন। আমিও শুনেছি। তাদের তথ্যমতে ভারতের ৩ কিলোমিটার অভ্যন্তরে ঘটনাটি ঘটেছে। বিএসএফের পক্ষ থেকেও আমাদেরও কোনো কিছু জানানো হয়নি।

সোহান মাহমুদ/আরএইচ/এএসএম