ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

মোটরসাইকেলের দখলে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত, বিরক্ত পর্যটক

জেলা প্রতিনিধি | পটুয়াখালী | প্রকাশিত: ১২:৪০ পিএম, ২৯ ডিসেম্বর ২০২২

নাগরিক জীবনের কোলাহল থেকে বেড়িয়ে সাগরের বিশালতা উপভোগ করতে কুয়াকাটা সৈকতে আসেন পর্যটকরা। তবে এখানে এসেও নেই স্বস্তি। ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলের দখলে পুরো কুয়াকাটার সমুদ্র সৈকত। এতে বিরক্ত পর্যটকরা। শুধু তাই নয়, এর ফলে সৈকত এলাকায় বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি।

তবে বেপরোয়া এসব মোটরসাইকেলচালকদের নিয়ন্ত্রণে টুরিস্ট পুলিশ মাঝে মধ্যে অভিযান চালালেও তা খুব বেশি কাজে আসছে না।

ভাড়ায় চালিত এসব মোটরসাইকেল সড়কে থাকার কথা থাকলেও পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে সৈকতের জিরো পয়েন্ট থেকে শুরু করে সর্বত্র তারা বেপরোয়া গতিতে সৈকত এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আর এর ফলে সৈকতে ঘুড়ে বেড়ানো নারী এবং শিশুসহ পর্যটকরা রয়েছেন দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে।

ঢাকা থেকে কুয়াকাটায় ঘুরতে আশা পর্যটক আব্দুল হক বলেন, সৈকত এলাকায় মোটরসাইকেলগুলো ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মোটরসাইকেলচালকরা নিজেদের অবস্থান জানান দিতে মোটরসাইকেলগুলো একটু পর পর বিচ এলাকায় চক্কর দিচ্ছে। এর ফলে সৈকতে খেলাধুলা করা ছোট ছোট শিশুরা যেকোনো সময় দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে। এছাড়া সৈকতের মতো নিরিবিলি একটি পরিবেশে মোটরসাইকেলের মতো যাত্রিকযানের অবাধ বিচরণ টা বেমানান।

তবে মোটরসাইকেল চালকরা বলছেন দূরে কিংবা সড়কে থাকলে পর্যটকদের পাওয়া যায় না তাই তারা সৈকতে ঘুরে বেড়ান। নাম প্রকাশ না করে একজন ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলচালক বলেন, আমরা দূরে থাকলে কোনো পর্যটক পাই না। তাই ছাতা ও বেঞ্চের কাছে গিয়ে পর্যটকদের সঙ্গে কথা বলি। যদি কেউ দূরে বিভিন্ন পর্যটন স্পটে যেতে চায় তবে সেখানে নিয়ে যাই, কি করবো বাধ্য হয়েই বিচ এলাকায় মোটরসাইকেল নিয়ে আসি।

কুয়াকাটা টুরিস্ট পুলিশের ইনস্পেক্টর হাসনাইন পারভেজ জাগো নিউজকে বলেন, সৈকত এলাকায় মূলত ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলের পাশাপাশি পর্যটকরাও তাদের ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল নিয়ে ঘোরাঘুরি করেন। টুরিস্ট পুলিশ এ বিষয়ে সব সময়ে মাইকিং করার পাশাপাশি টহল দিয়েও মোটরসাইকেলচালকদের সরিয়ে দেয়। তবে এরপরও অনেকে আইন অমান্য করে মোটরসাইকেল চালাচ্ছে। টুরিস্ট পুলিশ আগামীতে এ বিষয়ে আরও কঠোর অবস্থান নিবে।

কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত প্রায় ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ। আর পায়ে হেটে দীর্ঘ এই সৈকত ঘুরে দেখা সম্ভব নয়। এ কারণে অধিকাংশ পর্যটকরা মোটরসাইকেলে করে ঘুরে থাকেন। তবে সৈকত এলাকায় কিংবা পর্যটকদের নিয়ে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চলাচলের বিষয় একটি নীতিমালা তৈরি করা প্রয়োজন বলে মনে করেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।

আব্দুস সালাম আরিফ/জেএস/এএসএম