ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

জমি দিয়েছিলেন পাবলিক টয়লেটের জন্য, ছাদে বানাচ্ছেন নিজের হোটেল

জেলা প্রতিনিধি | পটুয়াখালী | প্রকাশিত: ০৭:৪৬ পিএম, ১৬ জানুয়ারি ২০২৩

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা পৌর শহরে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্মাণ করা একটি পাবলিক টয়লেটের ছাদে ব্যক্তি মালিকানাধীন হোটেল ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরে এই হোটেলের কাজ চললেও পৌরসভা কর্তৃপক্ষ কিংবা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের এ বিষয়ে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ চোখে পড়েনি।

অনুসন্ধানে জানা যায়, কুয়াকাটা পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে মোট আটটি পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। এর মধ্যে ৪ নম্বর ওয়ার্ডে ট্যুরিস্ট পুলিশের অফিসের সামনে একটি পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করা হয়। প্রতিটি টয়লেট নির্মাণের জন্য ব্যয় ধরা ছিল ১৫ লাখ টাকা করে। তবে টয়লেটের নির্মাণ কাজ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হস্তান্তর করার আগেই স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও জমির মালিক ইউসুফ গাজী পাবলিক টয়লেটের আশপাশসহ ছাদে কলাম উঠিয়ে পাবলিক টয়লেটকে বহুতল ভবনে রূপান্তরের কাজ করেছেন।

আরও পড়ুন: রাখাইন হত্যা মামলা: কুয়াকাটার মেয়রের বিরুদ্ধে সমন জারি

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইউসুফ গাজী জাগো নিউজকে বলেন, ‘যে জমিতে পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করা হয়েছে সেটি আমার ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি। কুয়াকাটা পৌর মেয়র এবং জনস্বাস্থ্যের ইঞ্জিনিয়ার যখন এখানে টয়লেট নির্মাণ করার কথা বলেন তখন আমি জমি দিতে রাজি ছিলাম না। তারপরও তারা বলছেন, টয়লেট নির্মাণ শেষ হলে আমি আমার মতো কাজে লাগাতে পারবো এবং চাইলে ওপরে কাজও করতে পারবো। সেই কথা মতো আমি জমি দিয়েছি। এখন যখন কাজ শুরু করেছি তখন ইঞ্জিনিয়ার বলছেন, টয়লেট হস্তান্তর হওয়ার পর কাজ করেন, সাংবাদিকরা ফোন দিচ্ছেন। অবশ্য মেয়র বলছেন কাজ করতে। আমি আমার জমি দিয়া এখন উল্টো বিপদে পড়ছি।’

jagonews24

এছাড়া ইউসুফ গাজী প্রতারণার শিকার হয়েছেন দাবি করে এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ না করার জন্যও অনুরোধ করেন।

আরও পড়ুন: পলিথিন-প্লাস্টিকে সয়লাব কুয়াকাটা, হুমকিতে জীববৈচিত্র্য

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কলাপাড়া জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. জাহিদ হোসাইন বলেন, কুয়াকাটায় আসা পর্যটকদের সুবিধার্থে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে আটটি পাবলিক টয়লেট নির্মাণের উদ্যোগ নেয় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। পাবলিক টয়লেট নির্মাণের স্থানগুলো পৌর মেয়র নির্ধারণ করেছেন এবং তার নির্দেশনায় এসব টয়লেট নির্মাণ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র আনোয়ার হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, আমি বিষয়টি জেনেছি, স্থাপনা না নির্মাণ করার জন্য তাকে চিঠি দিয়েছি।

এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, টয়লেট নির্মাণ করার সময় ইউসুফ গাজীর সঙ্গে আমার কোনো ধরনের চুক্তিপত্র হয়নি।

আরও পড়ুন: কুয়াকাটা সৈকত থেকে রাতের আঁধারে বালু লুট

এ বিষয়ে পটুয়াখালী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুজ্জামান জাগো নিউজকে বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি জেনেছি। জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর কোনো স্থাপনা নির্মাণ করার পর তা পৌরসভা কিংবা উপজেলা প্রশাসনকে বুঝিয়ে দেয়। এরপর এর দেখভালের দায়িত্ব তাদের। এর পরও এ বিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

আব্দুস সালাম আরিফ/এমআরআর/এমএস