ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

সেতুর একাংশ খালে, তক্তায় পারাপার

আসাদুজ্জামান মিরাজ | প্রকাশিত: ০৫:০০ পিএম, ২৩ মে ২০২৩

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু হলো ‘সাধুর ব্রিজ’। এ ব্রিজ ব্যবহার করে কুয়াকাটায় ঘুরতে যাওয়া পর্যটকরা মিশ্রিপাড়া বৌদ্ধ বিহার ও রাখাইন পল্লীতে যান। তবে গতবছর সেতুটির একাংশ খালের মধ্যে ধসে পড়ায় স্থানীয় ছয়-সাতটি গ্রামের বাসিন্দাসহ পর্যটকরা ভোগান্তিতে পড়ছেন।

জানা গেছে, উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নের পৌরঘোজা ও মম্বিপাড়া গ্রামের মাঝে অবস্থিত খালের ওপর এই ব্রিজটি ২০০৫ সালের দিকে নির্মাণ করা হয়। জনবহুল এ এলাকার বেশিরভাগ লোকজন কৃষি পেশায় নিয়োজিত। তাই বছরের বিভিন্ন সময়ে তাদের উৎপাদিত তরমুজ, ডাল, ধান, মরিচ, ভুট্টাসহ নানা ধরনের পণ্য বাজারজাতে এই রাস্তাটি ব্যবহার করেন। ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ায় বেশ কয়েকটি গ্রামের কৃষকরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।

আরও জানা যায়, কুয়াকাটার অদূরে পর্যটকদের ভ্রমণের অন্যতম স্পট মিশ্রিপাড়া বৌদ্ধ বিহার ও রাখাইন পল্লীতে যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ সড়কের এই অবস্থা হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েন পর্যটকরা। তাই রাখাইন পল্লীর জসিম মুসুল্লি নামে এক ব্যবসায়ী ব্রিজের ভাঙা অংশের ওপরে কাঠের তক্তা দিয়ে কিছুটা অংশ চলাচলের উপযোগী করে দিয়েছেন।

আরও পড়ুন: মই বেয়ে সেতু পার

আব্বাস উদ্দিন নামে এক স্থানীয় অটোরিকশাচালক জাগো নিউজকে বলেন, এই ব্রিজটি নড়বড়ে হয়ে পড়ে প্রায় দুই বছর আগে। তবুও ব্রিজের সংস্কার করা হয়নি। গতবছর হঠাৎ ব্রিজটি ভেঙে পড়ে। এই ব্রিজ দিয়ে মম্বিপাড়া, নতুন বাজার, বড়হরপাড়া, পৌরঘোজাসহ পাঁচ থেকে সাতটি গ্রামের মানুষ চলাচল করে। আমরা যাত্রী নামিয়ে দিয়ে খালি গাড়ি নিয়ে পার হই কিন্তু তাতেও ভয় কখন যেন বড় ধরনের দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়।

নাসির উদ্দিন নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, এই ব্রিজ দিয়ে ইজিবাইক, মোটরসাইকেলে করে স্থানীয়রাসহ পর্যটকরা চলাচল করে। কিন্তু সবসময়ই আমাদের ভয়ে ভয়ে থাকতে হয়। বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে দ্রুত ব্রিজটি সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি।

আরও পড়ুন: কাজ শেষ না হতেই ২৭ কোটি টাকার সেতুর পিলারে ফাটল

কুয়াকাটা খানাবাদ ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী আল-মামুন বলেন, আমার বাড়ি থেকে কলেজে যাওয়ার এটাই সহজ পথ। কিন্তু ব্রিজটা ভাঙার কারণে আমরা অনেকটা ভোগান্তিতে। যদি বর্ষার আগে মেরামত না করা হয় তাহলে ভোগান্তি আরও বাড়বে।

লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনসার উদ্দিন মোল্লা জাগো নিউজকে বলেন, ব্রিজটি মূলত লবনাক্ততার কারণে দ্রুত নষ্ট হয়ে গেছে। এসব এলাকায় আয়রন ব্রিজ করার কারণে দ্রুত নষ্ট হয়। তাই এখানে এখন গার্ডার ব্রিজ তৈরি করতে হবে। আমরা এ নিয়ে উপজেলা প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলেছি। আশা করি, দ্রুত এটার একটি সমাধান হবে।

আরও পড়ুন: সেতু যেন মরণফাঁদ

কলাপাড়া উপজেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী কাজী ফয়সাল বারী পূর্ণ বলেন, ব্রিজটি দিয়ে স্থানীয় সাধারণ মানুষের চলাচলে কষ্ট হচ্ছে। এরইমধ্যে বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে এনেছি। শিগগির ব্রিজটি সংস্কারে কাজ করবো।

এমআরআর/এএসএম