জুয়ার আসরে পুলিশের হানায় নিখোঁজ, পরদিন নদীতে মিললো মরদেহ
ছগির মিয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে জুয়ার আসরে অভিযান চালানোর সময় পুলিশের ধাওয়া খেয়ে নিখোঁজ ছগির মিয়া (৩৫) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ জুন) বিকেলে উপজেলার নাটঘর ইউনিয়নের নান্দুরা গ্রামের তিতাস নদীতে ছগির মিয়ার মরদেহ ভেসে ওঠে। নিহত ছগির উপজেলার এই ইউনিয়নের কুড়িঘর গ্রামের মৃত আবু সালাম মিয়ার ছেলে।
নাটঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আখতারুজ্জামান জাগো নিউজকে বলেন, সোমবার (২৬ জুন) মধ্যরাতে উপজেলার কুড়িঘর গ্রামের জাহান ইটভাটার দক্ষিণপাশে কিছু লোক জুয়া খেলছিল। খবর পেয়ে পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান চালায়। ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় এলাই মিয়াসহ তিনজনকে পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়। এসময় ছগির মিয়াসহ আরও কয়েকজন পালিয়ে যায়। রাতেই আটক এলাই মিয়ার স্ত্রী ও ছেলে আমাকে আটকের বিষয়টি জানায়।
চেয়ারম্যান আরও বলেন, মঙ্গলবার সকালে নিখোঁজ ছগির মিয়ার এক ভাই আরশ মিয়া জানায়, ছগিরকেও নাকি পুলিশ নিয়ে গেছে। কিন্তু থানায় খবর নিয়ে জানা যায় ছগির মিয়াকে তারা আটক করেনি। সারাদিন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেও ছগির মিয়াকে পাওয়া যায়নি। বিকেলের দিকে খবর আসে নান্দুরা গ্রামের পূর্বপাশে তিতাস নদীতে ছগিরের মরদেহ ভেসে উঠছে। স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, সোমবার রাতে পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিন জুয়ারিকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছে। এসময় আরও কয়েকজন পালিয়ে গেছে। ছগির মিয়ার মৃত্যু কীভাবে হয়েছে পুলিশ এখনো তা নিশ্চিত নয়। মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর কারণ বলা যাবে।
আবুল হাসনাত মো. রাফি/এমআরআর/এএসএম