ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

হাসপাতালের বিল না পেয়ে রোগী আটক, বারান্দায় মিললো মরদেহ

জেলা প্রতিনিধি | নোয়াখালী | প্রকাশিত: ০৯:০১ এএম, ২২ আগস্ট ২০২৩

নোয়াখালী সদরে প্যানকেয়ার আইসিইউ অ্যান্ড নরমাল ডেলিভারি সেন্টার নামের বেসরকারি একটি হাসপাতালের বিরুদ্ধে টাকা না পেয়ে রোগীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

সোমবার (২১ আগস্ট) নোয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে পাওয়া অভিযোগটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নাঈমা নুসরাত জেবিনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

jagonews24

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (১৮ আগস্ট) সোনাইমুড়ি উপজেলার আমকি গ্রামের বাবর আহম্মদ (২৪) নামের এক যুবক বিষপান করেন। ওইদিন দিনগত রাত ১টার দিকে পরিবারের লোকজন তাকে নোয়াখালী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে ভোরে হাসপাতালে অবস্থান করা দালাল সুজন ওই রোগীর স্বজনদের ফুসলিয়ে পাশের বেসরকারি প্যানকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যান।

বাবরের চাচাতো ভাই মাহমুদুল হাসান রিয়াজ জাগো নিউজকে বলেন, শনিবার (১৯ আগস্ট) বিকেল ৪টার দিকে চিকিৎসক রোগীকে বাড়ি নিতে বললে প্যানকেয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৪৭ হাজার টাকা বিল দাবি করে। পরে ২৫ হাজার টাকা জমা দিয়ে ‘গরিব রোগী আর টাকা নাই’ বলার পর হাসপাতালের লোকজন রোগীকে তালা দিয়ে আটকে রাখেন।

তিনি আরও বলেন, ‘পরদিন রোববার (২০ আগস্ট) সকালে পাঁচ হাজার টাকা জোগাড় করে হাসপাতালে গেলে প্যানকেয়ার কর্তৃপক্ষ রোগী সদর হাসপাতালে আছে বলে জানায়। সেখানে গিয়ে হাসপাতালে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেঝেতে বাবরের মরদেহ পাই। পরে বিষয়টি লিখিতভাবে জেলা প্রশাসককে জানানো হয়।’

নোয়াখালী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম বলেন, ‘ওই রোগী বিষপান করে শুক্রবার দিনগত রাত ১টার দিকে আমাদের এখানে ভর্তি হন। পরে রোগীর স্বজনেরা উন্নত চিকিৎসার জন্য বেসরকারি হাপাতালে নিয়ে যান। রোববার সকালে তাকে কে বা কারা বেওয়ারিশ অবস্থায় আমাদের হাসপাতালে রেখে যান। দুপুরে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’

jagonews24

সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নাঈমা নুসরাত জেবিন জাগো নিউজকে বলেন, ‘অভিযোগটি তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া গেছে। প্যানকেয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের দায় স্বীকার করেছে। সময়মতো প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।’

এ বিষয়ে জানতে প্যানকেয়ার হাসপাতালে গিয়েও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মানিককে পাওয়া যায়নি। পরে তার ব্যবহৃত মোবাইলফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

ইকবাল হোসেন মজনু/এসআর/জিকেএস