ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক

৫ মিনিটের পথ পাড়ি দিতে লাগে এক ঘণ্টা, ভোগান্তি চরমে

উপজেলা প্রতিনিধি | রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) | প্রকাশিত: ০৫:১৫ পিএম, ২৭ আগস্ট ২০২৩

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ অংশে যাত্রামুড়া থেকে মৈকুলী পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার রাস্তায় নিত্যদিনের সঙ্গী যানজট। এ সড়কে চলাচলকারী যানবাহন, পথচারী ও যাত্রীদের প্রতিদিনই নানা ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। ৫-৭ মিনিটের পথ পাড়ি দিতে লাগছে ১ ঘণ্টা বা এরও বেশি সময়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, যত্রতত্র অবৈধ সিএনজিচালিত অটোরিকশার স্ট্যান্ড, সড়কে বাস থামিয়ে যাত্রী ওঠা নামা, সিগন্যালগুলোতে চতুর্মূখী গাড়ির চাপ, সড়ক উন্নয়নের কাজ ও ট্রাফিক পুলিশের চাঁদাবাজির কারণে সম্ভব হচ্ছে না এ যানজট নিরসন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানবাহনের দীর্ঘ লাইনে আটকে পড়তে হচ্ছে বিপাকে। প্রতিদিন অগণিত মালবাহী ও যাত্রীবাহীসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল করে ব্যস্ততম এ সড়কটিতে।

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রূপগঞ্জের ৬ কিলোমিটারে তিনটি স্পট থেকে প্রতিনিয়তই থেমে থেমে যানজট সৃষ্ট হয়। কখনো কখনো সড়কের উভয় দিকে গাড়ির দীর্ঘ লাইন তৈরি হচ্ছে। এসব স্পটে ট্রাফিক অব্যবস্থাপনার কারণে ইচ্ছে মতন চলছে যানবাহন। এতে করে প্রায় সময়ই তৈরি হচ্ছে দীর্ঘ যানজট।

আরও পড়ুন: সড়ক সংস্কার চলছে, হানিফ ফ্লাইওভারে উঠার পথে যানজট

এছাড়া রূপসী-কাঞ্চন সড়কের রূপসী বাসস্ট্যান্ড দিয়ে সিটি গ্রুপের অতিরিক্ত মালবাহী ট্রাক ওঠানামা করার কারণে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক দিয়ে চলাচলরত যানবাহনগুলো আটকে যাচ্ছে। এ থেকেও যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। অন্যদিকে বরাব স্ট্যান্ডে রিকশা, অটোর অবাধ বিচরণ, সড়কে বাস থামিয়ে যাত্রী ওঠানামার ও তারাব বিশ্বরোড গোল চত্বরে যানবাহনের এলোমেলো চলাচল যানজটের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বরাব এলাকার বাসিন্দা সিহাব হোসেন বলেন, যানজট নিরসনে হাইওয়ে পুলিশকেও তেমন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে দেখা যায় না। বিশ্বরোডে গোলচত্তর, বরাব ও রূপসী বাসস্ট্যান্ড থেকেই যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। রূপসীতে সিটি কোম্পানির মালবাহী ট্রাক ওঠানামাসহ তিনটি স্পটেই সিএনজি ও অটোরিকশার স্ট্যান্ড, মহাসড়কেই যাত্রী ওঠানামা ও অবাধে যানবাহনের চলাচলের কারণে এখানে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।

Narayangonj2.jpg

ভুলতা এলাকার বাসিন্দা আরমান হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রতিদিন অফিসে আসা যাওয়ার সময় এ যানজট বিড়ম্বনায় পরতে হয়। প্রায় দিনই অফিস যেতে দেরি হয়। বিকালে রওয়ানা দিলে বাসায় ফিরতে রাত হয়ে যায়। এ সমস্যা সমাধানে কর্তৃপক্ষের কোনো পদক্ষেপ নেই।

লেগুনাচালক জাকির হোসেন বলেন, যাত্রামুড়া থেকে মৈকুলী পর্যন্ত যানজট যেন অমোগোর (আমাদের) নিয়মে পরিণত হয়েছে। ৫ থেকে ৭ মিনিটের পথ পাড়ি দিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয়। এতে ট্রিপ কমে যাওয়ার আয় রোজগারও কমে গেছে।

আরও পড়ুন: লাইসেন্স ও নম্বরপ্লেট ছাড়াই রাজশাহী দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অটোরিকশা

যাতায়াত পরিবহনের চালক মোজাম্মেল হোসেন বলেন, মহাসড়কের রূপসী, বরাব ও তারাব বিশ্বরোড গোলচত্তর এ তিনটি স্পটে প্রতিনিয়ত যানজট সৃষ্ট হয়। কখনো আবার যানবাহনের দীর্ঘ লাইন কাঁচপুর থেকে ভুলতা গাউছিয়া পর্যন্ত ১০ থেকে ১২ কিলোমিটার বিস্তৃত হয়ে যায়।

এ বিষয়ে ভুলতা হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক (টি আই) আবু নাঈম জাগো নিউজকে বলেন, তারাব বিশ্বরোডের ওখানে মহাসড়কের কাজ চলার কারণে মাঝেমধ্যে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। চলতি মৌসুমে ঘনঘন বৃষ্টির কারণে অনেক সময় রাস্তার পাশের কাচা অংশে পানি জমে থাকে। এদিকে চালকরা নিয়ম ভঙ্গ করে গাড়ি চালানোর কারণেও যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। তবে আমাদের হাইওয়ে পুলিশ সদস্যরা রাত-দিন নিরলসভাবে কাজ করছে। প্রতিনিয়তই আমরা আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। এ বিষয়ে ট্রাফিক পুলিশ তৎপর রয়েছে। আশা করি দ্রুত এ যানজট সমস্যার সমাধান হবে।

জেএস/এমএস