ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

‘জীবনের শেষ বেলার ভোটটি দিয়া যাই’

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৪:৪৬ এএম, ২২ মার্চ ২০১৬

“আর কতকাল বাঁচব। এক পা তো কবরে চলেই গেছে। জীবনে কত ভোটই তো দিলাম। এবার আর ঘরে বসে থেকে লাভ কী। গ্রামের ছাওয়াল ভোটে দাঁড়াইছে। ভোটটা না দিতে পারলে ভালো লাগব না। জীবনের শেষ বেলার ভোটটি দিয়া যাই।” -কথাগুলো বলছিলেন আশিয়োর্ধ্ব আয়মন নেছা। মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে দোহারের নারিশা ইউনিয়নের শিমুলিয়া কেন্দ্রে ভোট দিতে এসেছেন এই বৃদ্ধা। লাঠিতে ভর করে ধীরে ধীরে বুথের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। আয়মন নেছার সঙ্গে তাল মিলিয়ে হেঁটে হেঁটেই কথা হয় এই প্রতিবেদকের সঙ্গে।

ভোটকেন্দ্রিক জীবনের নানা অভিজ্ঞতার কথা বলেল তিনি। বলছিলেন, “সেই পাকিস্তান আমল থেকে ভোট দিয়ে আসছি। শেখ মুজিবকে ভোট দিলাম। জিয়ারেও ভোট দিলাম। এরশাদের সময়ও ভোট দিতে এসেছিলাম। কিন্তু এরশাদের সময় কেন্দ্রে আসাই সার। আমাগো ভোট আগেই হইয়া যাইতো। পরে ফিরে যাইতাম।”

জাগো নিউজের এ প্রতিবেদকের কাছে বৃদ্ধা আরো বলেন, “আর কতকাল’ই বা বাঁচব। জীবনের শেষ বেলা। ভোটের দিন মনে আনন্দ আসে। আগে দল বেধে আসতাম। আমার বয়সী সবাই মারা গেছে। আজ নাতনীরে সঙ্গে নিয়া আইছি।”

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার কথাও বললেন তিনি। বলেন, “ভয় নিয়া ভোট দিতে আইছিলাম সেবার। ভোটের দিন তেমন কিছু অইল না। কিন্তু ভোটের পরের দিন কত মানুষ মারা গেল! ভোট নিয়া এমন মারামারি আমার জীবনে দেখিনি।”

এদিকে, দেশে প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে ইউপি নির্বাচনে ব্যাপক উৎসাহ -উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ঢাকা জেলার দোহার উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। সকাল থেকেই শান্তিপূর্ণ পরিবেশের মধ্য দিয়ে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। ভোটারদের নির্বিঘ্নে ভোট দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও সর্তকাবস্থা রয়েছে।

এএসএস/এআর/আরএস/পিআর

আরও পড়ুন