ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

দিনাজপুরে কুকুরের কামড়ে হাসপাতালে ২১ জন

উপজেলা প্রতিনিধি | (হিলি) দিনাজপুর | প্রকাশিত: ০৭:৫৩ পিএম, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলায় কুকুরের কামড়ে দুইদিনে ২১ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১০ জন পুরুষ এবং ১১ জন নারী।

সোমবার সকাল থেকে মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল পর্যন্ত এসব রোগী কুকুড়ের কামড়ে আক্রান্ত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে দুজনের শরীর থেকে মাংসে কামড়ে তুলে নিয়ে গেছে কুকুর।

এদিকে, হঠাৎ করে কুকুরের কামড়ে আক্রান্তের ঘটনায় আতঙ্ক বিরাজ করছে পুরো এলাকায়। তবে কুকুর নিধনে এবং কুকুরের ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রমে স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং প্রাণিসম্পদ দপ্তরের কোনো কার্যক্রম না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্থানীয় সচেতন মহল।

হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী কুকুরের কামরে আক্রান্তরা হলেন, জিল্লুর রহমান (৩৬), আব্দুল করিম (৪৫), রাজিয়া বেগম (৩০), লাবণ্য (৩), ইসমাইল হোসেন (৫০), শরিয়ত (৭), হাবিবুল্লাহ (৫), আরোবি আক্তার (৩), মাকছুদা বেগম (২৮), আনারুল ইসলাম (৩২), বানেসা বেগম (৪৫), ছোয়াইব ইসলাম (৩), মোজাফ্ফর রহমান (৫০), রাফিয়া আক্তার (৩), সুরুজ মিয়া (৩০), শ্যামলী কুন্ডু (৪৫), কাঞ্চন রানী (৩৫), পূর্ণিমা রানী সরকার (৫২), সালেহা বেগম (৭৫), বুলবুলি বেগম (৪২) এবং অনন্ত কুমার (১৯)। তারা সবাই ঘোড়াঘাট পৌর এলাকার বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা।

কুকুরের কামড়ে আক্রান্ত শিশু শরিয়তের (৭) বাবা রবিউল ইসলাম বলেন, আমাদের গ্রাম এবং আশপাশে প্রতিদিন কুকুর কামড়ের ঘটনা ঘটছে। কুকুরের ভয়ে আমরা বাড়ি থেকে বের হতে পারছি না। এসব কুকুর নিধনে প্রশাসন কেন জানি ঘুমাচ্ছে।

ঘোড়াঘাট পৌরসভার মেয়র আব্দুস সাত্তার মিলন বলেন, কুকুর কামড়ে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা শুনেছি। প্রায় তিন-চার বছর আগে পৌরসভার পক্ষ থেকে কুকুর নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। আমরা আবারও কুকুর নিধন অভিযানের জন্য আবেদন করেছি। ঢাকা থেকে বিশেষজ্ঞ লোক নিয়ে এসে এই কার্যক্রম পরিচালনা করতে হয়।

ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. নুরে আজমির ঝিলিক বলেন, হঠাৎ করে মাত্র দুইদিনে কুকুর কামড়ে আক্রান্ত হয়ে ২১ জন রোগী হাসপাতালে এসেছেন। তাদের মধ্যে ৭০ বছর বয়সী একজন নারীর শরীর থেকে কামড় দিয়ে মাংস তুলে নিয়েছে কুকুর। সবাইকেই আমরা জলাতঙ্কের ভ্যাকসিন দিয়েছি। হাসপাতালে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন মজুত আছে। আক্রান্ত স্থানে ক্ষতের ধরণ অনুযায়ী আমরা রোগীদের তিনটি গ্রেডে বিভক্ত করে চিকিৎসা দিচ্ছি।

মো. মাহাবুর রহমান/এমআরআর/এএসএম