সড়কে পাথর রাখায় জরিমানা গুনলেন প্রবাসী
দেখে বোঝার উপায় নেই এটি একটি প্রধান সড়ক। সড়কটির অর্ধেক জায়গাজুড়ে রাখা হয়েছে ভবন নির্মাণের পাথর। এতে পথচারী ও যানবাহন চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। খবর পেয়ে সেখানে অভিযান পরিচালনা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বুধবার (৪ অক্টোবর) সকালে শরীয়তপুর-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কের শরীয়তপুরের সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের রাস্তায় মালামাল রেখে যানবাহন ও পথচারী চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির দায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, শহরের সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের সড়কজুড়ে মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) ভোরের দিকে বাড়ি নির্মাণের জন্য পাথর রাখেন তুলাসার এলাকার মজিদ হাওলাদারের ছেলে লন্ডন প্রবাসী নুরুল আমিন হাওলাদার। এতে একটি অটোরিকশা ও বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার শিকার হয় এবং সকাল থেকে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের নজরে এলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরে নুরুল আমিন হাওলাদার প্রবাসে থাকায় তার বোন রাশিদা বেগম জরিমানার টাকা পরিশোধ করেন।
আরমান নামের এক স্কুলছাত্র বলে, ‘রাস্তায় এভাবে পাথর রাখায় সকাল থেকেই প্রচুর জ্যাম ছিল। তাই বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে পরীক্ষা দিতে আসতে হয়েছে। এতে আমার পরীক্ষার হলে ঢুকতে ১০ মিনিট লেট (দেরি) হয়েছে।’

মোটরসাইকেলচালক নান্নু মিয়া বলেন, ‘একটা প্রধান সড়কে কীভাবে পাথরগুলো ফেলে রাখে? সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জ্যাম ছিল। আমরা চাই দ্রুত সড়ক থেকে পাথরগুলো সরানো হোক।’
বাসচালক লোকমান হাওলাদার বলেন, ‘এমনিতেই সারাদিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। তারমধ্যে সড়কের অর্ধেক জায়গাজুড়ে পাথর ফেলে রাখা হয়েছে। এতে আমাদের ভোগান্তি বাড়ছে।’

এ বিষয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র বলেন, সড়ক থেকে কিছু পাথর সরিয়ে চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে। পাথরগুলো প্রশাসনের হেফাজতে রয়েছে। এ বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বিধান মজুমদার অনি/এসআর/জিকেএস