ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

চোর ধরায় কুপিয়ে জখম

জেলা প্রতিনিধি | শরীয়তপুর | প্রকাশিত: ০৭:০১ পিএম, ০৭ অক্টোবর ২০২৩

কয়েক মাস আগে সাইজউদ্দিন পাইক নামের এক ব্যক্তির ঘরে চুরি করে পালাচ্ছিলেন এক চোর। এ সময় চোরকে ধরে ফেলেন শাওন পাইক ও শামীম পাইক নামের দুই ভাই। পরে দেখা যায় চোর তাদেরই প্রতিবেশী। চোরকে ধরে মুরব্বিদের কাছে তুলে দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন সেই চোর। সুযোগ খুঁজছিলেন দুই ভাইকে শায়েস্তা করার। ফলে সুযোগ পেয়ে শাওন পাইককে (১৯) কুপিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে জাহাঙ্গীর দেওয়ান (৩০) নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।

শনিবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার সুরেশ্বর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

আহত শাওন পাইক উপজেলার ঘড়িষার ইউনিয়নের হালইষার এলাকার নূরুল হক পাইকের ছেলে।

ভুক্তভোগীর স্বজনরা জানান, উপজেলার ঘড়িষার ইউনিয়নের হালইষার এলাকার সাইজউদ্দিন পাইক নামে এক ব্যক্তির ঘরে কিছুদিন আগে চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তারই প্রতিবেশী আলী মিয়া দেওয়ানের ছেলে জাহাঙ্গীর দেওয়ানকে ধরে মুরব্বিদের হাতে তুলে দেন সাইজউদ্দিনের ভাই নূরুল হক পাইকের দুই ছেলে শাওন ও শামীম পাইক। এরপর থেকেই শাওন ও শামীম পাইকের সঙ্গে বিরোধ তৈরি হয় জাহাঙ্গীর দেওয়ানের।

শনিবার দুপুরে শাওনকে সুরেশ্বর এলাকায় একা পেয়ে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত করার অভিযোগ ওঠে জাহাঙ্গীর দেওয়ান, তার ভাই শাহালম দেওয়ান, আলমগীর দেওয়ান ও আলম দেওয়ানের বিরুদ্ধে। এ সময় শাওনের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে গেলে পালিয়ে যান হামলাকারীরা। পরে তাকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।

আহত শাওন পাইকের ভাই শামীম পাইক বলেন, জাহাঙ্গীর আমার চাচার ঘরে চুরি করে পালানোর সময় আমরা দুই ভাই মিলে ওকে ধাওয়া করে ধরে মুরব্বিদের হাতে তুলে দিই। এরপর থেকে জাহাঙ্গীর দেওয়ান ও তার ভাইয়েরা আমাদের মারার জন্য সুযোগ খুঁজছিল। আজ দুপুরে আমার ভাইকে একা পেয়ে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে তারা। আমার ভাইয়ের অবস্থা বেশি ভালো না। আমরা এ ঘটনায় অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানাই।

এ ব্যাপারে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. শরীফ উর রহমান বলেন, দুপুরে শাওন পাইক নামের একটি ছেলেকে আহত অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছিল। ছেলেটির শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখমের চিহ্ন ছিল, পাশাপাশি প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। তাই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে নড়িয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবির হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি পূর্ব শত্রুতার জেরে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বিধান মজুমদার অনি/এফএ/এএসএম