যুবলীগ নেতাকে গুলি করে হত্যার হুমকি, নৌকা প্রার্থীর বিরুদ্ধে জিডি
সংসদ সদস্য ও নৌকার প্রার্থী তাহজীব আলম সিদ্দিকী এবং যুবলীগ নেতা আশফাক মাহমুদ
যুবলীগের এক নেতাকে গুলি করে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ঝিনাইদহ-২ আসনের সংসদ সদস্য ও নৌকার প্রার্থী তাহজীব আলম সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় জিডি করেছেন ওই নেতা।
তার নাম আশফাক মাহমুদ জন। তিনি ঝিনাইদহ জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক। মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে শহরের চাকলাপাড়ার পুরাতন হাটখোলা মসজিদ মার্কেটে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তাকে হুমকি দেওয়া হয় বলে জিডিতে উল্লেখ করেন। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আশফাক মাহমুদ জনের একটা ভিডিও বক্তব্য ছড়িয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: ‘ছাত্রলীগের মার্কা ঈগল মার্কা, আওয়ামী লীগের মার্কা ঈগল মার্কা’
তিনি সেখানে বলেন, হাটখোলার মসজিদ মার্কেটে আমার ব্যবসায়ীক পার্টনার মামুনুর রশিদ টোকনের সঙ্গে বসে কথা বলছিলাম। এমন সময় সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী তাহজীব আলম সিদ্দিকী সেখানে তার লোকজন নিয়ে উপস্থিত হন। এসময় সেখান দাঁড়িয়ে থাকা যুবলীগ কর্মী আহাদ আলীকে মারধর করেন তিনি। তখন আমি বেরিয়ে এলে আমাকেও অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করেন এবং নির্বাচন সংক্রান্ত বিভিন্ন কথা বলেন। এসময় আমি বলি- জনগণ আপনাকে ভোট না দিলে আমার কি করার আছে। তখন সংসদ সদস্য তাহজিব আলম সিদ্দিকী তার গার্ডকে বলেন ‘গুলি কর’। এসময় পাশে থাকা লোকজন এগিয়ে এলে আমাকে ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের সমর্থকদের হত্যার ভয় দেখিয়ে সেখান থেকে চলে যান তাহজীব আলম সিদ্দিকী।
এ বিষয়ে অভিযোগকারী আশফাক মাহমুদ জন বলেন, ঘটনার পর আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তাই নিজের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় জিডি করি। সেখানে আমার বক্তব্য দেওয়া আছে, আপনারা লিখতে পারেন।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে নৌকা ও স্বতন্ত্র সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে সংসদ সদস্য তাহজীব আলম সিদ্দিকীকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
তবে তার ব্যক্তিগত সহকারী রোকনুজ্জামান রিপন বলেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে থেকে দলের সব সুবিধা নিয়েছেন আশফাক। তিনি যুবলীগের নেতা হয়েও নৌকা প্রার্থীর বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। এনিয়ে সংসদ সদস্য তাহজীব আলম সিদ্দিকীর সঙ্গে তার কিছু কথা হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে কিছু উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। তবে গুলি করা হবে এ ধরনের অভিযোগ সত্য না। দলের সিনিয়র নেতা যদি এমন করেন, তাহলে নৌকার প্রার্থী তাকে কিছু বলতেই পারেন।
ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন উদ্দিন বলেন, আশফাক মাহমুদ জন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগ যে কেউ দিতেই পারেন। তদন্ত শেষ হলে বোঝা যাবে আসলে ঘটনা সত্য না কি।
আব্দুল্লাহ আল মাসুদ/জেডএইচ