ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

‘নির্বাচন থেকে সরে যা, না গেলে গুলি করবো’ বলে প্রার্থীকে হুমকি

জেলা প্রতিনিধি | কিশোরগঞ্জ | প্রকাশিত: ০৭:০৪ পিএম, ০৩ মার্চ ২০২৪

‘তুই নির্বাচন থেকে সরে যা, না গেলে তোকে গুলি করবো। আমার ভাই ছয়বারের চেয়ারম্যান। দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে আমাদের পরিবার এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। আমরাই নির্বাচিত হবো।’

নির্বাচন থেকে সরে যেতে এভাবেই হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার লোহাজুরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ নুরুজ্জামান ইকবাল। রোববার (৩ মার্চ) দুপুরে লোহাজুরী এলাকায় নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি।

চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুজ্জামান ইকবাল অভিযোগ করে বলেন, ‘শনিবার (২ মার্চ) সন্ধ্যায় নির্বাচনী প্রচারণার সময় ইউনিয়নের কাজির মোড় এলাকায় প্রতিপক্ষ আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মুছা মারুয়া আমার ওপর হামলা চালায়। এসময় মুছা মারুয়া পিস্তল উঁচিয়ে হুমকি দেন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে। আমি নির্বাচন থেকে সরে না দাঁড়ালে গুলি করে মেরে ফেলবেন বলে হুমকি দেন। এসময় মুছা মারুয়ার কর্মী-সমর্থকদের হামলায় আমার ২০ জন সমর্থক আহত হয়েছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট করার জন্য বাইরে থেকে ভাড়া করে গুন্ডা বাহিনী এনে ভোটারদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বাইরে থেকে দেশীয় অস্ত্র এনে মজুত করে রাখা হয়েছে, যা নির্বাচনের দিন ব্যবহার করা হবে। গোপন কক্ষে ভোট না দিয়ে প্রকাশ্যে ভোট দিয়ে আসতে হবে এমন হুমকিও ভোটারদের দেওয়া হচ্ছে। প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের কাছে আমি নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ চাই।’

তবে আনারস প্রতীকের প্রার্থী মুছা মারুয়া তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। উল্টো তিনি দাবি করেন, নুরুজ্জামান ইকবালই তার লাইসেন্স করা পিস্তল উঁচিয়ে গুলি করার হুমকি দেন।

কটিয়াদী উপজেলা নির্বাচন অফিসার মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, এ বিষয়ে আমাদের কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি বলে জানান কটিয়াদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দাউদ।

লোহাজুরী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হায়দার মারুয়ার মৃত্যুর পর ৯ মার্চ ওই ইউনিয়নে উপনির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ১৮ হাজার ৯৮৪ জন।

এসকে রাসেল/এসআর/জিকেএস