ইন্টারনেট বন্ধ
কিশোরগঞ্জে মোবাইলে গেম খেলে সময় পার তরুণদের
প্রতীকী ছবি
দেশের চলমান পরিস্থিতিতে এক সপ্তাহ ধরে বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট পরিসেবা। ব্রডব্যান্ড, মোবাইল ডাটা কাজ করছে না। থমকে গেছে ইন্টারনেট নির্ভর কাজ। স্মার্টফোনে গেম খেলে সময় পার করছেন কিশোরগঞ্জের উঠতি বয়সী তরুণ-তরুণীরা।
সরেজমিনে জেলার সৈয়দ নজরুল ইসলাম চত্বর ঘুরে দেখা যায়, নির্মল বাতাসে সময় কাটাতে শত শত মানুষ এসেছেন। সবার হাতেই স্মার্টফোন। তবে ব্যস্ততা নেই। একা বা দলবদ্ধভাবে বসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বুদ হয়ে থাকার চিত্রও দেখা যায়নি। দুয়েকটা কল আর মোবাইলে লুডুসহ বিভিন্ন ধরনের গেম খেলে সময় কাটাতে দেখা গেছে। গ্যালারিতে পুরনো ছবি দেখে সময় পার করছেন অনেকে।
সেখানে আড্ডা দিতে আসা বেশকয়েকজন জানান, ইন্টারনেটবিহীন থাকায় একে অপরের প্রতি সৌহার্দ বেড়েছে। বেড়েছে বই-পত্রিকা পড়ার প্রতি ঝোঁক। বিষয়টিকে অনেকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন।
এজেন্ট ব্যাংক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত আব্দুল আলিম জানান, ব্যাংক থেকে টাকা না তুলতে পারায় তিনিও তার গ্রাহকদের সেবা দিতে পারছেন না।
রিপন মিয়া নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, ইন্টারনেটের কারণে প্রতিদিনের হিসেব ঢাকায় পাঠাতে পারছি না। আগের তুলনায় বিক্রি কমেছে তিনগুণ। তার দাবি, দ্রুতই ইন্টারনেট সেবা স্বাভাবিক করা হোক। বিশেষ করে ইন্টারনেট সেবা দ্রুত সচল করার দাবি জানান তিনি।
রাতুল নামের এক যুবক জানান, ইন্টারনেট না থাকায় পরিবারের লোকজন ও বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে এখন প্রাণ খুলে কথা বলা যাচ্ছে। সেই সঙ্গে বই-পত্রিকা পড়ার প্রতিও মনোযোগ এসেছে।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী নাঈম বলেন, এখনতো কাজকর্ম সব বন্ধ। তাই বন্ধুদের সঙ্গে লুডু খেলতেছি। ইন্টারনেট সেবা চালু হলে কাজে ফিরতে হবে। সারাদিন বাসায় থেকে ভালো লাগে না। তাই চত্বরে এসেছি লুডু খেলতে।
চা দোকানি জনি মিয়া জানান, এ চত্বরে প্রতিদিন অনেক মানুষের অনাগোনা শুরু হয়। তাই এখানে চা বিক্রি করে তার পরিবার চলে। তবে গত কয়েকদিনে এখানে তিনি নিয়মিত দোকানই খোলতে পারেনি। সংসার চালাতেন হিমশিম খাচ্ছেন তিনি।
এসকে রাসেল/আরএইচ/জিকেএস