ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিমের নামে আরও একটি হত্যা মামলা

জেলা প্রতিনিধি | দিনাজপুর | প্রকাশিত: ০৮:১৭ পিএম, ২৭ আগস্ট ২০২৪

দিনাজপুরে সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিমের নামে আরও একটি হত্যা মামলা হয়েছে। রোববার (২৫ আগস্ট) দিনাজপুর কোতোয়ালী থানায় মামলাটি করেন গুলিতে নিহত শিক্ষার্থী রবিউল ইসলাম রাহুলের বড় ভাই ফরিদুল ইসলাম (৩২)।

মামলায় ৩১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ৩০০-৪০০ জনকে।

এর আগে ১৯ আগস্ট রবিউল ইসলাম রাহুলকে হত্যার অভিযোগ এনে ইকবালুর রহিমের বিরুদ্ধে অপর একটি মামলা করেন দিনাজপুর জেলা যুবদলের নেতা রুহান হোসেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- জেলা যুবলীগ নেতা রাশেদ পারভেজ, আনোয়ার হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা শেখ শাহ আলম, মো. আশরাফুল আলম রমজান, মানিক রঞ্জন বসাক, যুবলীগ নেতা মো. মিথুন, সুইট, ওবাইদুর রহমান, ফাজিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান অভিজিৎ বসাক, শেখপুরা ইউপি চেয়ারম্যান মোমিনুল ইসলাম, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ইমদাদ সরকার, শশরা ইউপি চেয়ারম্যান মো. মকছেদ আলী রানা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলতাফুজ্জামানসহ ৩১ জন।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, ৪ আগস্ট দিনাজপুরে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যোগ দেন। সেই আন্দোলনে রবিউল ইসলামও অংশগ্রহণ করেন।

আন্দোলনকারীরা মিছিল নিয়ে দুপুর ১২টার দিকে পৌরসভার মোড় ও জেলা স্কুলের সামনের সড়কে পৌঁছালে ইকবালুর রহিমের পরোক্ষ মদদ ও উস্কানিতে তার লোকজন হামলা চালায়। হামলাকারীদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র, দেশীয় অস্ত্র ও রাসায়নিক দ্রব্য ছিল।

হামলাকারীরা শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি ছুড়লে রবিউল দুই পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। তাকে উদ্ধার করে দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৯ আগস্ট মারা যান তিনি।

নিহত রবিউল দিনাজপুর সদর উপজেলার ফাজিলপুর ইউনিয়নের বিদুরশাই মহারাজপুর এলাকার মোসলেম উদ্দিনের ছেলে। তিনি রানীগঞ্জ এহিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। শটগানের গুলিতে রবিউলের মৃত্যু হয়েছে বলে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মৃত্যু সনদে উল্লেখ করেছে।

দিনাজপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ হোসেন বলেন, হত্যা, হত্যার উদ্দেশ্য ও ভয়ভীতির অপরাধসংক্রান্ত ধারায় রোববার বিকেলে মামলা হয়। আন্দোলনে নিহত রবিউল ইসলামের বড় ভাই মামলাটি করেন।

এমদাদুল হক মিলন/জেডএইচ/এমএস