ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

বোরোতে ৪৯ টাকায় চাল ও ৩৬ টাকা দরে ধান কিনবে সরকার

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৫:২২ পিএম, ০৯ এপ্রিল ২০২৫

আসন্ন বোরো মৌসুমে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে সাড়ে ১৭ লাখ টন ধান ও চাল কিনবে সরকার। এরমধ্যে সাড়ে তিন লাখ টন ধান ও ১৪ লাখ টন সেদ্ধ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

প্রতি কেজি বোরো ধানের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৬ টাকা আর সেদ্ধ চাল কেনা হবে ৪৯ টাকা কেজি দরে। ধান ও চালের এ দাম গত বছরের তুলনায় কেজিপ্রতি ৪ টাকা বেশি।

আগামী ২৪ এপ্রিল থেকে সারাদেশে বোরো মৌসুমের ধান-চাল কেনা শুরু করবে সরকার। এই সংগ্রহ অভিযান চলবে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত।

বুধবার (৯ এপ্রিল) সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।

আরও পড়ুন

সভা শেষে খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। একই সঙ্গে ৩৬ টাকা দরে গম কেনারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিটি।

কতটুকু গম সংগ্রহ করা হবে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি, যতটুকু পাওয়া হবে ততটুকুই সংগ্রহ করা হবে বলে জানিয়েছেন খাদ্য উপদেষ্টা।

আলী ইমাম মজুমদার আরও বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয় যে উৎপাদন খরচ দিয়েছে তার সঙ্গে লাভ যুক্ত করে ধান ও চালের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

jagonews24

তিনি বলেন, হাওরে ধান কাটা শুরু হয়েছে। পহেলা বৈশাখ থেকে পুরোদমে শুরু হবে। কৃষি উপদেষ্টা সেখানে যাবেন। উদ্বোধন করবেন। ২৪ এপ্রিল থেকে সংগ্রহ অভিযান শুরু হবে। উত্তরবঙ্গে একটু দেরিতে শুরু হবে।

গত বছর বোরোতে ৫ লাখ টন ধান, ১১ লাখ টন সেদ্ধ চাল এবং এক লাখ টন আতপ চালসহ ১৭ লাখ টন ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। প্রতি কেজি বোরো ধান ৩২ টাকা, সেদ্ধ চাল ৪৫ টাকা এবং আতপ চাল ৪৪ টাকা দরে কেনে সরকার।

আরও পড়ুন

অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ধারাবাহিকভাবে বন্যা ও অতিবৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতি হওয়া সত্ত্বেও সার ও চাল আমদানি করে আমরা মোটামুটি স্থিতিশীল অবস্থা ধরে রেখেছি। ধান-চাল সংগ্রহের টার্গেট আমাদের পরিপূর্ণ হয়েছে।

এ সময়ে কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, লক্ষ্যমাত্রা যেটি নির্ধারণ করা হয়েছে আশা করছি তার চেয়ে বেশি উৎপাদন হবে। মাঠের পরিস্থিতি দেখে এটি মনে হচ্ছে আমাদের।

আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) সুনামগঞ্জে ধান কাটা উৎসব উদ্বোধনে যাচ্ছেন বলেও জানান কৃষি উপদেষ্টা।

আরএমএম/এমকেআর/এমএস