ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

আইপিডিসি ফাইন্যান্সের প্রথম প্রান্তিকে মুনাফা বাড়লো ৯৮.৮ শতাংশ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৭:৫৫ পিএম, ১৪ মে ২০২৫

আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ প্রান্তিকে নিট মুনাফায় প্রায় ৯৮ দশমিক ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে, যার পরিমাণ ৩৭ মিলিয়ন টাকায় উন্নীত হয়েছে। সরকারি সিকিউরিটিজে তাদের বিনিয়োগ থেকে প্রাপ্ত বৃহৎ রিটার্ন এ মুনাফা বৃদ্ধির পেছনে মুখ্য ভূমিকা রেখেছে। বুধবার (১৪ মে) প্রতিষ্ঠানটি এসব তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিটি শেয়ারের আয় (ইপিএস) গত বছরের ০.০৫ টাকা থেকে বেড়ে ২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকে ০.০৯ টাকায় দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি মোট সুদের আয় ১৬.১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যার পরিমাণ ২ হাজার ২৮৮ মিলিয়ন টাকা এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ধারাবাহিক নীতিগত সুদের হার বৃদ্ধি এবং উচ্চতর আমানত হারের কারণে অর্থায়ন ব্যয় ২২.৯ শতাংশ বেড়েছে।

মোট বিনিয়োগ আয় বছরে ১৩৪.৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ২৩৯ মিলিয়ন টাকায় উন্নীত হয়েছে। এরমধ্যে সরকারি সিকিউরিটিজ থেকে আয় ২০৮.৮ শতাংশ বেড়ে ১২৫ মিলিয়ন টাকায় পৌঁছেছে। মোট পরিচালন আয় ১৪.৯ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৭৫৭ মিলিয়ন টাকা এবং পরিচালন মুনাফা ২৬.৬ শতাংশ বেড়ে ৩৭৪ মিলিয়ন টাকায় দাঁড়িয়েছে।

কৌশলগত সম্পদ ব্যবস্থাপনা, বাছাইকৃত নিয়োগ এবং পরিচালন দক্ষতার অগ্রগতির ফলে পরিচালন ব্যয়ের বৃদ্ধি মাত্র ৫.৩ শতাংশ এ সীমাবদ্ধ রাখা সম্ভব হয়েছে। শেয়ারপ্রতি নিট পরিচালন নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে ৪.৮৬ টাকা হয়েছে, যেখানে গত বছর ছিল মাইনাস ১২.৩৯ টাকা। অন্যদিকে নিট সম্পদ মূল্য (এনএভি) শেয়ারপ্রতি সামান্য বেড়ে ১৭.৮৩ টাকায় দাঁড়িয়েছে।

২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত আইপিডিসির মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ৭৯,৫১১ মিলিয়ন টাকা। এখানে স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। গ্রাহক আমানত ৭.৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যার পরিমাণ ৫৫,৭৮৬ মিলিয়ন টাকা।

এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি নন-ব্যাংক আর্থিক খাতের (এনবিএফআই) আমানত বাজারে প্রায় ১১ শতাংশ অংশীদারত্ব ধরে রেখেছে। ঋণ ও অগ্রিম প্রদান ১.১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বিনিয়োগ পোর্টফোলিও ৩.৩ শতাংশ হ্রাস পেলেও দৃঢ় অবস্থান ধরে রেখেছে।

এ প্রসঙ্গে আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিজওয়ান দাউদ সামস বলেন, আমাদের বছরের প্রথম প্রান্তিকের ফলাফল নিঃসন্দেহে সন্তোষজনক, যা আমাদের বহুমুখী ব্যবসায়িক মডেলের স্থিতিশীলতা প্রমাণ করে। যদিও ঋণের চাহিদা কিছুটা কমেছে, তবে ঝুঁকিভিত্তিক বিনিয়োগ ও বিচক্ষণ ব্যয় ব্যবস্থাপনার মধ্যে ভারসাম্য রেখে আমরা এ মুনাফা অর্জনে সক্ষম হয়েছি। আমরা গ্রাহকদের পাশে থাকতে এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ভূমিকা অব্যাহত রাখতে বদ্ধপরিকর।

বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির স্থবিরতা এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানে অপ্রদেয় ঋণের ঊর্ধ্বগতির মতো প্রতিকূল অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটের মধ্যেও, আইপিডিসি ফাইন্যান্সের এমন পারফর্ম্যান্সের মূলে রয়েছে প্রতিষ্ঠানের স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধি, আর্থিক শৃঙ্খলা এবং গ্রাহককেন্দ্রিক সমস্যা সমাধানে কৌশলগত পদ্ধতি অবলম্বন। দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি ও স্টেকহোল্ডারদের জন্য দীর্ঘমেয়াদি ভেল্যু তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

ইএআর/এমকেআর/জেআইএম