আগস্টের মধ্যে ই-স্কুটার-বাইক বাজারে আনবে অ্যাটলাস বাংলাদেশ

আগামী আগস্টের মধ্যে ই-স্কুটার ও ই-বাইক বাজারে আনছে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান অ্যাটলাস বাংলাদেশ লিমিটেড। এ লক্ষ্যে চীনের ঝেজিয়াং লুইয়ুয়ান ইলেকট্রিক ভেহিকলের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছে অ্যাটলাস বাংলাদেশ।

চুক্তির আওতায় চীন থেকে যন্ত্রাংশ ও কারিগরি সহায়তা সংগ্রহ করবে অ্যাটলাস বাংলাদেশ। আমদানি করা যন্ত্রাংশ দিয়ে নিজেদের ব্র্যান্ড ‘অ্যাটলাস ইভি’র নামে ইলেকট্রিক স্কুটার ও বাইক তৈরি বা সংযোজন করা হবে। প্রাথমিকভাবে চারটি বৈদ্যুতিক যানবাহনের (ইভি) মডেল সংযোজন করা হবে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)-কে এসব তথ্য জানিয়েছে রাষ্ট্রয়াত্ত প্রতিষ্ঠানটি। সেই প্রেক্ষিত্রে ডিএসই থেকে মূল্য সংবেদশীল তথ্য হিসেবে বিষয়টি বিনিয়োগকারীদের জানানো হয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটি ডিএসইকে জানিয়েছে, গত ২২ মে বাংলাদেশ স্টিল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশনের (বিএসইসি) সম্মেলন কক্ষে অ্যাটলাস বাংলাদেশ লিমিটেড ও ঝেজিয়াং লুইয়ুয়ান ইলেকট্রিক ভেহিকল কোম্পানি লিমিটেডের মধ্যে এমওইউ সই হয়।

• আরও পড়ুন
• ই-স্কুটার দ্রুত ফুল চার্জ করার উপায়
• এক চার্জে ৩২০ কিলোমিটার চলবে ই-স্কুটার

শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. নুরুজ্জামান এই এমওইউ সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রাষ্ট্রায়ত্ত কর্পোরেশন) এম এ কামাল বিল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান মো. আনোয়ারুল আলম, অ্যাটলাস বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আজিবর রহমান, বিএসইসি ও অ্যাটলাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। চীনা কোম্পানির আন্তর্জাতিক বিভাগের পরিচালক ড্যানিয়েল ইউ ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

অ্যাটলাস বাংলাদেশ ১৯৬৬ সালে হোন্ডা মোটর কোম্পানির সঙ্গে যৌথভাবে ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে যাত্রা শুরু করে। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর প্রতিষ্ঠানটির জাতীয়করণ করে বাংলাদেশ স্টিল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশনের (বিএসসিসি) অধীনে আনা হয়। ১৯৮৮ সালে কোম্পানিটি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয় এবং ১৯৯৩ সালে হিরো হোন্ডার সঙ্গে ব্যবসা শুরু করে।

তবে ২০১১ সালে হোন্ডা ও হিরো হোন্ডা আলাদা হয়ে যাওয়ার পর থেকেই অ্যাটলাসের অবনমন শুরু হয়। ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠানটি টিভিএস অটো বাংলাদেশের সঙ্গে করপোরেট চুক্তি করে এবং ২০২০ সালের জানুয়ারিতে টিভিএস মোটরসাইকেল সংযোজনের জন্য নতুন অ্যাসেম্বলি লাইন চালু করে। কিন্তু পণ্য বিক্রি করতে না পারায় বছরের পর বছর ধরে প্রতিষ্ঠানটি লোকসানে চলছে।

জাগোনিউজের খবর পেতে ফলো করুন আমাদের গুগল নিউজ চ্যানেল।

২০২৩-২৪ হিসাব বছরে অ্যাটলাস বাংলাদেশ ৬ কোটি ৬৫ লাখ টাকা লোকসান হওয়ার কথা জানায় এবং কোনো লভ্যাংশ দেবে না বলেও ঘোষণা করে। আর চলতি হিসাব বছরের প্রথম ৯ মাসে অর্থাৎ ২০২৪ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত সময়ে প্রতিষ্ঠানটির ২ কোটি ৭১ লাখ টাকা লোকসান হয়েছে।

এমএএস/ইএ/জিকেএস