নিরাপদ দুধ উৎপাদনে খামারিদের সচেতনতা ও অংশীজনদের সহযোগিতা জরুরি
নাটোরের গুরুদাসপুরে নিরাপদ দুধ বিষয়ক সেমিনারে বক্তারা/ছবি সংগৃহীত
নিরাপদ দুধ উৎপাদন নিশ্চিত করতে খামারিদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং অংশীজনদের মধ্যে কার্যকর সহযোগিতা প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) নাটোরের গুরুদাসপুরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে প্রাণ ডেইরির আয়োজনে ‘নিরাপদ দুধ: খামারি ও অংশীজনদের সমন্বিত উদ্যোগ’ বিষয়ক এক সেমিনারে এ কথা বলেন বক্তারা।

সেমিনারে প্রাণ ডেইরির প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মাকসুদুর রহমান, গুরুদাসপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমিদা আফরোজ, নাটোর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. সেলিম উদ্দীন, জেলার জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নাজমুল হাসান, খাদ্যনিরাপত্তা কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোফাজ্জল হোসেনসহ এ খাতের বিশেষজ্ঞ ও শতাধিক দুগ্ধ খামারি উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, দুধের মান বজায় রাখতে স্বাস্থ্যসম্মত খামার ব্যবস্থাপনা, সময়মতো গরুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা, দুধ দোহনের পর সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা ও সংগ্রহ কেন্দ্রে পরীক্ষার মাধ্যমে মান নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য খামারিদের পাশাপাশি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, দুধ বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান ও অন্য দায়িত্বশীলদের ভূমিকা রাখা প্রয়োজন।
প্রাণ ডেইরির প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মাকসুদুর রহমান বলেন, ‘ডেইরি হাবের মাধ্যমে প্রাণ ডেইরি খামারিদের নিয়মিত প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন ধরনের সহায়তা করছে। ভোক্তাদের হাতে নিরাপদ দুধ পৌঁছে দিতে সংগ্রহ কেন্দ্র থেকে প্যাকেটজাত হওয়া পর্যন্ত চারটি ধাপে দুধের মান পরীক্ষা করছে। তাই আমাদের ভোক্তারা নিরাপদ দুধের জন্য নিশ্চিন্তে প্রাণ ডেইরির ওপর আস্থা রাখতে পারেন।’
বিএ/জিকেএস