ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

প্রতিযোগিতা কমিশনের কার্যাবলি বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশিত: ০৬:০৭ পিএম, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

‘প্রতিযোগিতা আইন, ২০১২ এবং বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের কার্যাবলি বিষয়ক অবহিতকরণ’ শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ফরেন ইনভেস্টর্স চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ফিকি) সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপারসন এএইচএম আহসান।

ফিকির সভাপতি জাভেদ আখতারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ফিকির পরিচালনা পর্ষদের সদস্য সুমিতাভা বসু এবং সদস্য কোম্পানির প্রতিনিধি ও প্রতিযোগিতা কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে এএইচএম আহসান বলেন, ‘প্রতিযোগিতা আইন মুক্তবাজার অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরকার ইতিমধ্যেই প্রতিযোগিতা আইন ২০১২ প্রণয়ন করেছে এবং প্রতিযোগিতা কমিশন গঠন করেছে। আইনটি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা গেলে সিন্ডিকেট ও কার্টেল কার্যক্রম বন্ধ হবে। এতে ভোক্তার স্বার্থ রক্ষা পাবে এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে। এতে উদ্যোক্তারা নতুন চিন্তা ও উদ্ভাবনে উৎসাহিত হবেন, কর্মসংস্থান বাড়বে এবং টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।’

সভাপতির বক্তব্যে ফিকির সভাপতি জাভেদ আখতার বলেন, ফিকি দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও সামগ্রিক উন্নয়নে শুরু থেকেই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছে। বিশ্বের ৩৫টি দেশের প্রায় ২০০টি শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি ফিকির সদস্য। সদস্যরা সবাই চায় ব্যবসায় সুষ্ঠু প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ বজায় থাকুক। তবে নতুন আইন যেন ব্যবসার বিকাশে কোনো প্রতিবন্ধকতা তৈরি না করে, সেটিও নিশ্চিত করতে হবে।

ফিকির নির্বাহী পরিচালক টিআইএম নুরুল কবিরের সঞ্চালনায় সভায় প্রতিযোগিতা কমিশনের কর্মকর্তারা এবং ফিকির সদস্য কোম্পানির প্রতিনিধিরা আইন বাস্তবায়ন ও সংশোধনী বিষয়ে তাদের সুচিন্তিত মতামত তুলে ধরেন।

বাংলাদেশে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানসমূহের শীর্ষ সংগঠন দ্য ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ফিকি) ১৯৬৩ সালে যাত্রা শুরুর পর থেকে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিসহ সার্বিক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে আসছে। বাংলাদেশের ২১টি খাতে ব্যবসা চালিয়ে যাওয়া বিশ্বের ৩৫টি দেশের প্রায় ২১০টি সদস্য প্রতিষ্ঠান শীর্ষস্থানীয় চেম্বার ফিকির প্রতিনিধিত্ব করছে। ছয় দশকের এই গৌরবময় যাত্রায় চেম্বারের সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারের অভ্যন্তরীণ প্রায় ৩০ শতাংশ রাজস্ব আয়ে অবদান রাখছে। এছাড়া বাংলাদেশে ৯০ শতাংশের বেশি অভ্যন্তরীণ এফডিআই-এর প্রতিনিধিত্ব করছে।

এমএমকে/জিকেএস