৮০ হাজার টন সার-ফসফরিক অ্যাসিড কিনবে সরকার, ব্যয় ৪২৬ কোটি টাকা
ফাইল ছবি
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭০ হাজার টন ইউরিয়া সার এবং চট্টগ্রামের টিএসপিসিএলের জন্য ১০ হাজার মেট্রিক টন ফসফরিক অ্যাসিড আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ৪২৫ কোটি ৮২ লাখ ৭৮ হাজার ২৭৩ টাকা।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠেকে এই অর্থ ব্যয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রামের টিএসপিসিএলের জন্য ১০ হাজার মেট্রিক টন ফসফরিক অ্যাসিড আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৯৭ কোটি ৭০ লাখ ৪১ হাজার ৮ টাকা।
জানা গেছে, টিএসপি সার উৎপাদনের প্রধান কাঁচামাল ফসফরিক অ্যাসিড ও রক ফসফেট বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ১০ হাজার মেট্রিক টন ফসফরিক অ্যাসিড আমদানির জন্য আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে মাত্র একটি দরপত্র জমা পড়ে। প্রস্তাবটি কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়।
দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসির সুপারিশে রেসপনসিভ একমাত্র দরদাতা প্রতিষ্ঠান চীনের এম/এস গুয়াংসি পেংইউয়ে ইকো-টেকনোলজি কোং লিমিটেড থেকে ১০ হাজার মেট্রিক টন ফসফরিক অ্যাসিড মোট ৭৫ লাখ ৬ হাজার মার্কিন ডলারে কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ৯৭ কোটি ৭০ লাখ ৪১ হাজার ৮ টাকা। প্রতি মেট্রিক টন ফসফরিক অ্যাসিডের দাম ৭৫০ দশমিক ৬০ মার্কিন ডলার।
বৈঠকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আর এক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো), বাংলাদেশের কাছ থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ ইউরিয়া সার কিনতে ব্যয় হবে ১৩৭ কোটি ৫৩ লাখ ১৩ হাজার ৬২৫ টাকা।
জানা গেছে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের পরিকল্পনা মোতাবেক কাফকো, বাংলাদেশ থেকে ৫ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার কেনার সংশোধিত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ১০ম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার কেনার জন্য প্রাইস অফার পাঠাতে অনুরোধ করা হলে কাফকো, বাংলাদেশ প্রাইস অফার পাঠায়।
কাফকোর সঙ্গে চুক্তি মোতাবেক সারের মূল্য নির্ধারণ করে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার প্রতি মেট্রিক টন ৩৭৩.৬২৫ মার্কিন ডলার হিসেবে ১ কোটি ১২ লাখ ৮ হাজার ডলারে কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ১৩৭ কোটি ৫৩ লাখ ১৩ হাজার ৬২৫ টাকা।
এছাড়া বৈঠকে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে সৌদি আরবের সাবিক এগ্রি-নিউট্রিয়েন্টস কোম্পানি থেকে ৪০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১৯০ কোটি ৫৯ লাখ ২৩ হাজার ৬৪০ টাকা।
জানা গেছে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে সাবিক এগ্রি-নিউট্রিয়েন্টস কোম্পানি থেকে ৩ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন এবং আপদকালীন ও জরুরি পরিস্থিতি এবং দেশীয় কারখানায় সারের ঘাটতি মোকাবিলায় আরও ৩ লাখ মেট্রিক টনসহ মোট ৬ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার আমদানির চুক্তি করা হয়।
সাবিক এগ্রি-নিউট্রিয়েন্টস কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি মোতাবেক সারের মূল্য নির্ধারণ করে প্রতি মেট্রিক টন ৩৮৮ দশমিক ৩৩ মার্কিন ডলার হিসাবে ৪০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ১ কোটি ৫৫ লাখ ৩৩ হাজার ২০০ মার্কিন ডলারে কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ১৯০ কোটি ৫৯ লাখ ২৩ হাজার ৬৪০ টাকা।
এমএএস/এমএএইচ/এএসএম