হাত স্যানিটাইজ করলেও মাস্ক পরতে অনাগ্রহী শিক্ষার্থীরা
কেন্দ্রে প্রবেশের আগে হাত স্যানিটাইজ করে নিচ্ছেন এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা/ছবি জাগো নিউজ
চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সকাল ১০টায় সব বোর্ডের প্রথম দিনের পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষা শেষ হবে দুপুর ১টায়।
দেশে বর্তমানে করোনা ও ডেঙ্গুর সংক্রমণ বাড়ায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশের নির্দেশনা রয়েছে। তবে কেন্দ্রে প্রবেশের আগের হ্যান্ড স্যানিটাইজ করলেও মাস্ক পরিধানে অনাগ্রহ দেখিয়েছেন শিক্ষার্থী।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অবস্থিত সরকারি বিজ্ঞান কলেজ কেন্দ্রে এ চিত্র দেখা গেছে।
এই কেন্দ্রের অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা জানান, যারা মাস্ক পরে অভ্যস্ত না তারা পরছেন না। আবার কেউ কেউ মাস্ক পরলেও কিছু সময় বাদে খুলে রাখছেন।

তারা বলেন, শুধু শিক্ষার্থীদের মাস্ক পরালে তো দেশ করোনামুক্ত হবে না। দেশের সবাইকে তা মানতে হবে।
কেরানীগঞ্জ থেকে সরকারি বিজ্ঞান কলেজে পরীক্ষা দিতে আসা সুপ্ত রহমান জাগো নিউজকে বলেন, মাস্ক পরলে আমার দম বন্ধ লাগে, কষ্ট হয়। এভাবে পরীক্ষা দিলে ভালো হবে না। আমার কমফর্ট জোন থেকে মাস্ক একটা অস্বস্তির ব্যাপার। তাছাড়া এই বাধ্যবাধকতা শুধু শিক্ষার্থীদের জন্য না দিয়ে পুরো দেশের জন্য দিলে কাজে আসবে।
তবে মাস্ক বাদে বাকি বিষয়গুলো মানা হচ্ছে বলে জানান এই শিক্ষার্থী।
একই রকম অভিমত ব্যক্ত করেন পাশে থাকা আরেক শিক্ষার্থীর অভিভাবক আবেদ আলী। তিনি বলেন, ‘অবশ্যই মাস্ক পরিধানের অভ্যাস থাকা ভালো। কিন্তু অনেকের অভ্যাস না থাকায় তারা এটি পরিহার করছেন। যারা অভ্যস্ত না তাদের জন্য এটি কঠিন।’
করোনাভাইরাস ও ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ বাড়ায় তা প্রতিরোধে পরীক্ষা কেন্দ্রে সরকার কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা দিয়েছে।
নির্দেশনাগুলো হলো-
>> কেন্দ্রে প্রবেশের সময় পরীক্ষার্থীসহ পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট সবার মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক।
>> পরীক্ষা কেন্দ্রের প্রবেশপথে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে।

>> ডেঙ্গু বিস্তার রোধে কেন্দ্রের অভ্যন্তরে এবং আশপাশে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
>> পরীক্ষা শুরুর পূর্বে কেন্দ্রের অভ্যন্তরে মশক নিধন ওষুধ স্প্রে করতে হবে। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা গ্রহণ করতে হবে।
>> পরীক্ষা কক্ষের আসন বিন্যাস বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী পরিপালন করতে হবে।
>> প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রের মেডিকেল টিমকে সক্রিয় রাখতে হবে। এ বিষয়ে সিভিল সার্জন/উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখতে হবে।
>> জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ এবং পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনে অভিভাবকদের জটলা নিরুৎসাহিত করার প্রচারণা চালাতে হবে।
এমডিএইচআর/বিএ/এএসএম
সর্বশেষ - শিক্ষা
- ১ প্রাথমিক শিক্ষকদের শাটডাউন স্থগিত, রোববার থেকে পরীক্ষা
- ২ আন্দোলন করা অসংখ্য প্রাথমিক শিক্ষককে ভিন্ন জেলায় বদলি
- ৩ পরীক্ষা না নেওয়ায় প্রাথমিক শিক্ষকের মাথা ফাটালেন অভিভাবকরা
- ৪ অধ্যক্ষ-প্রধান শিক্ষক নিয়োগে নতুন শর্ত, তৃতীয় বিভাগ থাকলেই অযোগ্য
- ৫ ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যারিয়ার ফেয়ার, অংশ নিলো ৬০ প্রতিষ্ঠান