ভিডিও EN
  1. Home/
  2. শিক্ষা

শেষ হলো ভিকারুননিসায় ভর্তি আবেদনপত্রের হার্ডকপি গ্রহণ

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশিত: ০৪:১৫ পিএম, ২৯ ডিসেম্বর ২০২০

রাজধানীর নামি বিদ্যালয় ভিকারুননিসা নুন স্কুলের বিভিন্ন শাখায় প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির আবেদনপত্রের হার্ডকপি জমা দেয়ার দুদিনব্যাপী কার্যক্রম মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) শেষ হয়েছে। প্রথমদিনের তুলনায় এদিন সকাল থেকেই আবেদনপত্র জমা দিতে আসেন বেশি সংখ্যক অভিভাবক।

সরেজমিনে দেখা গেছে, স্কুলটির ইংরেজি ও বাংলা মিডিয়ামের প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে অভিভাবকরা কেউ ‘ডে’ শিফটের জন্য আবার কেউবা ‘মর্নিং’ শিফটের জন্য আবেদনপত্রের হার্ডকপি জমা দিতে এসেছেন। সাধারণ আসনের বাইরে বিভিন্ন কোটায়ও (মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, অটিস্টিক, বোন ও ক্যাচমেন্ট এরিয়া ইত্যাদি) আবেদনপত্র জমা দিতে দেখা গেছে।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

এ সময় স্কুলের শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অভিভাবকদের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে, বিশেষ করে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সুশৃঙ্খলভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে আবেদনপত্র জমা দেয়ার বিষয়ে নজরদারি করছিলেন। পাশাপাশি এজন্য সবাইকে অনুরোধও জানাচ্ছিলেন তারা।

viqarunnisa-(1).jpg

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

স্কুলটির আজিমপুর শাখার একাধিক শিক্ষক জানান, ভর্তি প্রক্রিয়ার সব কাজ মূল শাখা থেকেই সম্পন্ন হবে। এই দুদিন তারা শুধুমাত্র আবেদনপত্রের হার্ডকপি জমা নিচ্ছেন। এসব আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই শেষে লটারির জন্য যোগ্য ও নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের নামের তালিকা অনলাইনে প্রকাশ করা হবে। তারপর মূল শাখার অধ্যক্ষ নির্দিষ্ট দিনে লটারির মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়ার সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন। লটারিতে অংশগ্রহণের জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের তালিকা দুই-তিনদিনের মধ্যেই প্রকাশিত হতে পারে।

তবে মূল লটারি কবে নাগাদ অনুষ্ঠিত হতে পারে সে সম্পর্কে কোনো শিক্ষকই কিছু জানাতে পারেননি।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় স্কুলটির আজিমপুর শাখার সামনে এ প্রতিবেদকের সঙ্গে মোহাম্মদ শাহজাহান নামে এক অভিভাবক বলেন, ‘মেয়েকে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য ক্যাচমেন্ট এরিয়া কোটায় আবেদনপত্রের হার্ডকপি জমা দিতে এসেছি। করোনা মহামারির কারণে এ বছর মেয়েটি বলতে গেলে গৃহবন্দিই ছিল। নতুন বছরে নতুন স্কুলে মেয়ে ভর্তির সুযোগ পেলে আনন্দিত হব।’

viqarunnisa-(1).jpg

স্কুলটির দোতলায় একজন শিক্ষক লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা একজন অভিভাবককে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় শিশুদেরকে সঙ্গে নিয়ে আসতে বারণ করা হয়েছিল, আপনি জানেন না?’

বিজ্ঞাপন

অভিভাবক লজ্জিত কণ্ঠে বলেন, ‘বাচ্চা স্কুল দেখবে বলে বায়না ধরে কান্নাকাটি করায় নিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছেন।’

স্কুলটির অধ্যক্ষের কক্ষে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে ওই শিক্ষক জানান, ভর্তির সব কার্যক্রম মূল শাখা থেকে পরিচালিত হওয়ায় তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে চান না।

এমইউ/এসএস/এমএস

বিজ্ঞাপন