ভিডিও EN
  1. Home/
  2. বিনোদন

আকাশ কাঁদছে ফরিদা পারভীনের বিদায়ে, শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা

বিনোদন প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১২:৫০ পিএম, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থতার সঙ্গে লড়াই করে পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলেন দেশবরেণ্য লালন সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টা ১৫ মিনিটে তিনি মারা যান। তার বিদায়ে প্রকৃতিও যেন শোকে কাতর। কাঁদছে আকাশ। ঝুম বৃষ্টি মাথায় নিয়ে আজ দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ছুটে এলেন অগুণতি মানুষ। তারা নানা শ্রেণির, পেশার ও বয়সের। সবাই এসেছেন লালনের গানের কিংবদন্তি শিল্পী ফরিদা পারভীনকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে।

আজ রোববার দুপুর ১২টার পর শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হয় শিল্পীর মরদেহ। সেখানে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে জোহর নামাজের আগে অনুষ্ঠিত হবে তার জানাজা।

এরপর কুষ্টিয়ায় নেওয়া হবে ফরিদা পারভীনের মরদেহ। সেখানে আরেক দফা জানাজা শেষে তার মরদেহ দাফন করা হবে কুষ্টিয়া পৌর কবরস্থানে।

ফরিদা পারভীন বেশ কিছু দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। কিডনি সমস্যা ও ডায়াবেটিসসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি। কিডনি ডায়ালাইসিস চলছিল সপ্তাহে দুদিন। তবে মাঝে মধ্যে অবস্থার অবনতি হতো তার। চলতি বছর তিন দফায় হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে হয়েছে তাকে।

সর্বশেষ গত ২ সেপ্টেম্বর মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ফরিদা পারভীনকে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় হাসপাতালে নেওয়ার পরই নিয়ে যাওয়া হয় আইসিইউতে। পরে তাকে লাইফ সাপোর্টেও নেওয়া হয়। সেখান থেকে আর ফেরানো গেলো না তাকে। চিরতরে চলে গেলেন পৃথিবীর মায়া সাঙ্গ করে।

আকাশ কাঁদছে ফরিদা পারভীনের বিদায়ে, শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা

ফরিদা পারভীন দীর্ঘদিন কুষ্টিয়া শহরে বসে লালনসংগীতের চর্চা করেছেন। ১৯৫৪ সালে ৩১ ডিসেম্বর নাটোরের সিংড়া থানায় জন্ম নেওয়া ফরিদা পারভীন গানে গানে কাটিয়েছেন ৫৫ বছর। ১৪ বছর বয়সে ১৯৬৮ সালে ফরিদা পারভীনের পেশাদার সংগীতজীবন শুরু হয়। বাবার চাকরির সুবাদে বিভিন্ন জেলায় যেতে হয়েছে তাকে।

ফরিদা পারভীনের স্কুলজীবনের শুরুটা মাগুরায়। একাধিক স্কুলে পড়াশোনা শেষে তিনি কুষ্টিয়ার মীর মশাররফ হোসেন বালিকা বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন। ১৯৭৪ সালে কুষ্টিয়া গার্লস কলেজ থেকে এইচএসসি এবং একই কলেজ থেকে স্নাতক শেষ করেন।

লালনসংগীতে অবদানের জন্য ১৯৮৭ সালে বাংলাদেশ সরকারের একুশে পদক পান ফরিদা পারভীন। এর বাইরে ১৯৯৩ সালে ‘অন্ধ প্রেম’ চলচ্চিত্রে ব্যবহৃত ‘নিন্দার কাঁটা’ গানটির জন্য শ্রেষ্ঠ সংগীতশিল্পী (নারী) হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। তিনি ২০০৮ সালে জাপানের ফুকুওয়াকা পুরস্কার লাভ করেন। লালনশিল্পী হিসেবেই তিনি সমাদৃত। তবে তার কণ্ঠে বেশ ক'টি আধুনিক ও দেশের গান জনপ্রিয় হয়।

এমআই/এলআইএ/জেআইএম