মৃত্যুপথযাত্রী কিশোরীর সোনালি চুলের শখপূরণ
দুরারোগ্য হাচিনসন গিলফোর্ড প্রোগেরিয়া-য় ভুগছে মাত্র ১১ বছরের অ্যাশান্তি স্মিথ। ডাক্তারের বলে দিয়েছেন, এই রোগে আক্রান্তেরা ১৫ বছরের বেশি বাঁচতে পারে না। সে কথা জানেন অ্যাশান্তি নিজেও।
কিন্তু তার যে বড় শখ, স্কুলের বান্ধবীদের সঙ্গে গোটা একটা দিন কাটানোর। তাও যে সে অবস্থায় নয়, একদম ডানাকাটা পরীর সাজে। কারণ, তার স্কুলের বান্ধবীদের মাথায় একরাশ সোনালি চুল। আর তার নিজের মাথায়? চিকিৎসার জেরে মাথায় চুল কয়েক গোছাও অবশিষ্ট নেই। এ অবস্থায় কী আর বান্ধবীদের সামনে যাওয়া যায়?
অ্যাশান্তির এই খবর সে দেশের টেলিভিশনে প্রচারিত হতেই সাড়া পড়ে যায় মানুষের মধ্যে। শেষ পর্যন্ত অ্যাশান্তির শখ পূরণে এগিয়ে আসে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। মা ও বোনকে নিয়ে ব্রিংটন ব্রাঞ্চে যায় অ্যাশান্তি। সেখানকার এক নামী পার্লার থেকে নিজে পছন্দ করে নকল চুল(ইউগ) কেনে সে। পরে একটি ইতালিয় রেস্তোরাঁয় নৈশভোজও সারে সপরিবার।
সেকথা বলতে গিয়ে ক্যামেরার সামনে বারবার চোখের পাতা ভিজে আসে তার মা ফোবি-র। তিনি বলেন, মেয়েকে এত উত্তেজিত হতে দেখিনিই বহুদিন। ওর চোখে যেন ঘুম আসছিলই না।
অ্যাশান্তির মা জানিয়েছেন, মাস দুয়েক আগে স্কুল থেকে মেয়েকে মাথায় নকল চুল লাগিয়ে আসতে বারণ করা হয়েছিল। কারণ, স্কুল কর্তৃপক্ষ মনে করেছিল, এভাবে স্কুলে গোলাপি রঙের পরচুলা পড়ে এলে, তা বাকি ছাত্রীদের নিজের চুলের দিকে অত্যাতিক সচেতন করে তুলবে। এই ঘটনার পর থেকেই আর স্কুলে যেতে চাইত না অ্যাশান্তি। ফোবি বলেন, ওর জীবনের আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি। জীবনের শেষ নির্যাসটুকু আমার মেয়ে উপভোগ করতে চায়।