ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসী ধরা পড়লেই ৬ লাখ টাকা জরিমানা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৫:৫৭ পিএম, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসী ধরা পড়লেই পাঁচ হাজার ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ছয় লাখ টাকা) জরিমানা আদায় শুরু হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনুমোদিত ‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল অ্যাক্ট’-এর অধীনে নতুন এই জরিমানা কার্যকর হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ।

ইউএস বর্ডার পেট্রোলের প্রধান মাইকেল ব্যাংকস সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স–এ বলেন, ‘এই বার্তা সব অবৈধ অভিবাসীর জন্যই প্রযোজ্য—তারা কোথা দিয়ে প্রবেশ করেছেন, কতদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন, বর্তমানে কোথায় রয়েছেন বা তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিবাসন মামলা চলমান কি না—তা গুরুত্বহীন।’

এ জরিমানার জন্য আদালতের রায়ের অপেক্ষায় নয়, বরং আটকের সঙ্গে সঙ্গেই আরোপ করা হবে বলে স্পষ্ট করেছে কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন>>
ট্রাম্পের নতুন সিদ্ধান্ত/ ফ্যাক্ট-চেকারদের ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র

১৯ দেশের অভিবাসন আবেদন প্রক্রিয়া স্থগিত করলো যুক্তরাষ্ট্র
শরণার্থী-আশ্রয়প্রার্থীদের কাজের অনুমতির মেয়াদ কমালো যুক্তরাষ্ট্র

নতুন এই নীতির ভিত্তি যুক্তরাষ্ট্র কোড–এর ৮ ইউএসসি ১৮১৫ ধারায়। সেখানে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে ‘ইন্সপেকশন ছাড়াই’ প্রবেশ করলে আটক হওয়ার সময় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে ‘আটক ফি’ পরিশোধ করতে হবে। পরিস্থিতি অনুযায়ী ৮ ইউএসসি ২৩৩৯ ও ১৩২৪ ধারার অতিরিক্ত শাস্তিও প্রযোজ্য হতে পারে।

এর আগে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর থেকে এক হাজার ডলারের একটি আলাদা চার্জ কার্যকর করেছিল ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি (ডিএইচএস)। নতুন পাঁচ হাজার ডলারের জরিমানা সেই কাঠামোর সর্বশেষ ধাপ।

কারা দেবে জরিমানা?

নতুন নিয়ম অনুযায়ী জরিমানা দিতে হবে—

  • ১৪ বছর বা তার বেশি বয়সী সবাই।
  • যারা অনুমতি ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের পর আটক হয়েছেন।
  • যাদের অভিবাসন আইনে ‘অগ্রহণযোগ্য’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

এ নীতি শুধু সীমান্তে নয়, পুরো যুক্তরাষ্ট্রজুড়েই প্রযোজ্য হবে। কেউ কোথা দিয়ে প্রবেশ করেছেন, কতদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন, এমনকি তাদের বিদ্যমান অভিবাসন মামলা থাকলেও এই জরিমানা এড়ানো যাবে না।

জরিমানা না দিলে কী হবে?

জরিমানা পরিশোধ না করলে তা যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছে আনুষ্ঠানিক ঋণ হিসেবে জমা হবে। ডিএইচএস বলছে, এই বকেয়া পরবর্তীতে ওই ব্যক্তির যুক্তরাষ্ট্রে বৈধভাবে প্রবেশ বা অভিবাসন সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করবে। ঋণ পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত এটি রেকর্ডে বহাল থাকবে।

সূত্র: এনডিটিভি
কেএএ/