৪০ লাখ লিটার তেলসহ বিদেশি জাহাজ জব্দ করলো ইরান
জ্বালানি পাচারের অভিযোগে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ হরমুজ প্রণালি থেকে একটি বিদেশি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে ইরানের বিপ্লবী গার্ড (আরজিএস) বাহিনীর নৌ ইউনিট। শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) জব্দকৃত জাহাজটির ১৬ জন বিদেশি ক্রু সদস্যকে আটক করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। তবে তাদের জাতীয়তা কিংবা জাহাজটি কোন দেশের সে বিষয়ে কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনা-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জব্দকৃত জাহাজটিতে প্রায় ৪০ লাখ লিটার জ্বালানি তেল বহন করা হচ্ছিল। প্রাদেশিক বিচার বিভাগের কর্মকর্তা মোজতবা ঘাহরামানি জানিয়েছেন, জাহাজটি সন্দেহজনক জ্বালানি পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে আটক করা হয়েছে।
ইরান এর আগেও একাধিকবার হরমুজ প্রণালিতে জ্বালানি পাচার ও আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে বিদেশি জাহাজ আটক করেছে। গত নভেম্বরেও একই অভিযোগে প্রণালি দিয়ে যাওয়া একটি জাহাজ জব্দ করে ইরানি বাহিনী।
হরমুজ প্রণালি বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সামুদ্রিক বাণিজ্যপথ। বিশ্বে সমুদ্রপথে পরিবাহিত মোট তেলের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ এবং সামুদ্রিক জ্বালানি বাণিজ্যের প্রায় এক-চতুর্থাংশ এই সংকীর্ণ প্রণালি দিয়ে পরিবাহিত হয়।
ইরান বহুবার হুঁশিয়ারি দিয়েছে, প্রয়োজনে তারা এই জলপথ বন্ধ করে দিতে পারে। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর পঞ্চম নৌবহর বাহরাইন থেকে এই অঞ্চলে মোতায়েন রয়েছে যার উদ্দেশ্য আন্তর্জাতিক নৌযান চলাচল নিরাপদ রাখা।
ইরান ও পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উত্তেজনা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ করেছে, ২০১৯ সালে ইরান লিম্পেট মাইন হামলার মাধ্যমে কয়েকটি তেলবাহী জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত করেছিল। এছাড়া ২০২১ সালে একটি ইসরায়েল-সংশ্লিষ্ট জাহাজে ড্রোন হামলায় দুই ইউরোপীয় নাবিক নিহত হন।
এছাড়া ২০১৯ সালের জুলাইয়ে ইরান হরমুজ প্রণালিতে যুক্তরাজ্যের স্টেনা ইমপেরো জাহাজ জব্দ করে এবং ২৩ জন ক্রু সদস্যকে দুই মাসের বেশি সময় আটকে রাখে। এটি জিব্রাল্টারের কাছে একটি ইরানি ট্যাংকার আটক করার প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখা হয়েছিল।
কেএম