ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের জামিন শুনানিতে হট্টগোল

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৪:২৩ পিএম, ১১ আগস্ট ২০২৫

সাবেক প্রধান বিচারপতি ও আইন কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান এ বি এম খায়রুল হকের বিরুদ্ধে দায়ের করা হত্যা মামলা বাতিল এবং জামিনের আবেদনের শুনানি চলাকালে হাইকোর্টে হট্টগোল হয়েছে।

মামলার বাদী ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতিতে রূপ নেয়। পরে হাইকোর্ট আগামী রোববার শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন।

সোমবার (১১ আগস্ট) বিচারপতি মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি কে এম রাশেদুজ্জামান রাজার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এদিন বিকেল ৩টা ১০ মিনিটের দিকে সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের পক্ষে শুনানি করার জন্য আদালতে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম কে রহমান, সাবেক বিচারপতি মনসুরুল হক চৌধুরী, সিনিয়র অ্যাডভোকেট কামরুল হক সিদ্দিকী, অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না, অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ, অ্যাডভোকেট শেখ আওসাফুর রহমান বুলু, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মোহসীন রশিদ, অ্যাডভোকেট মোতাহার হোসেন সাজু, অ্যাডভোকেট সৈয়দ মামুন মাহবুব, অ্যাডভোকেট এবিএম সিদ্দিকুর রহমানসহ আওয়ামীপন্থি আইনজীবীরা।

এজলাস কক্ষে আগে থেকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রাসেল আহমেদ, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল উজ্জ্বল হোসেন, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জসিম উদ্দিন, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল শাফওয়ান করিম, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান খান রবিন ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইব্রাহিম খলিল।

আবেদনকারীর পক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে হট্টগোল, কথাকাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় অ্যাডভোকেট বিল্লাল হোসেন নামের এক আইনজীবী আক্রান্ত হয়েছে বলে দাবি করেছেন আবেদনকারী আইনজীবীরা। এছাড়া একজন নারী আইনজীবীসহ অন্যান্যদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছে।

গত জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ১৮ জুলাই রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে যুবদলকর্মী আবদুল কাইয়ুম আহাদ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের বাবা আলাউদ্দিন গত ৬ জুলাই যাত্রাবাড়ী থানায় শেখ হাসিনাসহ ৪৬৭ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন। এই মামলায় খায়রুল হককেও আসামি করা হয়।

গত ২৪ জুলাই সকালে ধানমন্ডির বাসা থেকে খায়রুল হককে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। ওইদিন রাতে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

৩১ জুলাই ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম মিয়া শুনানি শেষে তার জামিন আবেদন নামঞ্জুরের আদেশ দেন। তবে খায়রুল হকের আইনজীবী মোনায়েম নবী শাহিন জামিন চেয়ে শুনানি করেন।

খায়রুল হকের আইনজীবী মোনায়েম নবী শাহিন শুনানিতে বলেন, হয়রানি করার জন্য তাকে এ মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার প্রায় এক বছর পর ৬ জুলাই মামলাটি দায়ের করা হয়, যার কোনো সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা নেই।

আইনজীবী আরও জানান, খায়রুল হক ২০১১ সালের ১৭ জুন প্রধান বিচারপতির পদ থেকে অবসরে যান। মামলার ঘটনার দিন, অর্থাৎ ১৮ জুলাই তিনি আইন কমিশনের দাপ্তরিক কাজ শেষে পুলিশ পাহারায় নিজ বাসায় অবস্থান করছিলেন এবং তার বয়স ৮১ বছর। তিনি বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন এবং জামিন পেলে পলাতক হবেন না।

গত ২৯ জুলাই তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে বেআইনি রায় দেওয়ার অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানায় করা মামলায় খায়রুল হককে ভার্চুয়ালি গ্রেফতার দেখানো হয়। বিচারক হিসেবে দুর্নীতি ও বিদ্বেষমূলকভাবে বেআইনি রায় দেওয়াসহ জাল রায় তৈরির অভিযোগে শাহবাগ থানার মামলায় আদালত তাকে সাতদিনের রিমান্ডে পাঠান।

এফএইচ/কেএইচকে/এএসএম