ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

দুর্নীতির চার মামলায় গ্রেফতার সালমান এফ রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৩:২০ পিএম, ২৮ আগস্ট ২০২৫

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চার মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে শেখ হাসিনার সাবেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানকে।

বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. ইব্রাহীম মিয়ার আদালত দুদকের আবেদন মঞ্জুর করে আসামিকে গ্রেফতার দেখান।

এদিন সালমান এফ রহমানকে কারাগার থেকে আদালতে উপস্থিত করা হয়। গ্রেফতার দেখানো শেষে তাকে আবারও কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

দুদকের এক মামলার সূত্রে জানা যায়, ‎সালমান এফ রহমানসহ ১১ জন এলসি শর্ত ভঙ্গ করে ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডের নাম সর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের নিকট থেকে ৭৬ কোটি ৩৯ লাখ টাকার বিনিময়ে এলসি খুলে ড্রইং ডিজাইন না করে তা বিদেশে পাচার করে মানিলন্ডারিং করেছেন। যার ৮ বছর পার হয়ে গেলেও ব্যাংকের বকেয়া ৩৩ কোটি ৬৪ লাখ টাকা পরিশোধ না করে আত্মসাৎ করেছেন।

‎অপর মামলায় সালমান এফ রহমানসহ অন্যান্য আসামিরা সার্ভ কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড নামীয় ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে ভুয়া সাব-কন্ট্রাক্ট ও অপ্রতুল জামানতের ভিত্তিতে ৪৩৫ কোটি টাকা ওভারড্রাফট ঋণ অনুমোদন করিয়ে নেন। মাত্র ১৩ দিনে ৯৭টি চেকের মাধ্যমে ৪৩৪ কোটি ৬৪ লাখ টাকা নগদে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন এবং মানিলন্ডারিং করেন।

আরেক মামলায় ‎আইএফআইসি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদনে ২০২৪ সালে দুই মেয়াদে মোট ৬১৮ কোট ৯ লাখ টাকা ওডি ঋণ বিতরণ করা হয়, যার স্থিতি ২০২৫ সালের ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত দাঁড়ায় প্রায় ৬৭৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে অস্তিত্বহীন ও ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে জামানত ছাড়া এই ঋণ উত্তোলন করে আত্মসাৎ ও মানিলন্ডারিং করেন।

‎আরেক মামলায় আসামি জাকিয়া তাজিনের কোনো অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও ব্যাংকের চেয়ারম্যানের স্বার্থ সংশ্লিষ্টতা কাজে লাগিয়ে ইলিশ প্রসেসিং কারখানার নামে তার প্রতিষ্ঠানে ১৪৬ কোটি ৮২ লাখ টাকা ঋণ মঞ্জুর করা হয়। মঞ্জুরিপত্রের শর্ত ভঙ্গ করে মর্টগেজ ছাড়াই ঋণ বিতরণ, ডেফারেল পিরিয়ড বৃদ্ধি এবং উৎপাদনে না গিয়ে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল ছাড় করা হয়।

এগ্রো ইনডেক্স লিমিটেডের অনুকূলে ছাড়কৃত ঋণের মধ্যে ১১৩ কোটি ৪১ লাখ টাকা স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে মানিলন্ডারিং করা হয়।

এমআইএন/এনএইচআর/জিকেএস