ভোলায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ
হাইকোর্টে বিএনপির ৬০ নেতাকর্মীর জামিন
ফাইল ছবি
ভোলায় পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় ভোলা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকসহ ৬০ জনের ছয় সপ্তাহের জামিন মঞ্জুর করেছেন হাইকোর্ট। ছয় সপ্তাহ পরে আসামিদের ভোলা স্পেশাল জজকোর্টে আত্মসমর্পনের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
জামিন সংক্রান্ত আবেদনের শুনানি নিয়ে রোববার (৭ আগস্ট) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মোস্তফা জামান ইসলাম ও মো. সেলিমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল আসামিদের জামিন আবেদন করেন।
একই সঙ্গে জামিন আবেদন করেন অ্যাডভোকেট রুকুনুজ্জামান সুজা ও মো. মাকসুদ উল্লাহ। তিন আইনজীবী ৬২ জন বিএনপি নেতার পক্ষে পৃথক তিনটি জামিন আবেদনপত্র জমা দেন। ব্যারিস্টার কায়সার কামাল জামিন আবেদনের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন ।
তিনি আরও জানান, এদিন আদালতে ভোলা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকসহ ৬২ জনের জামিন আবেদন করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে ৬০ জনের জামিন দেন আদালত। আর বাকি দুজন আসামি আদালতে উপস্থিত না থাকায় তাদের জামিন দেওয়া হয়নি।
জামিন পাওয়া নেতা-কর্মীদের মধ্যে অন্যতম হলেন- ভোলা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনুর রশিদ ট্রুমেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. এনামুল হক, যুগ্ম সম্পাদক হুমায়ুন কবীর সোপান, যুবদলের সভাপতি মো. জামাল উদ্দিন লিটন, সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল কাদের সেলিম, সেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মো. আল আমিন ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আল আমিন হাওলাদার।
আদালতে আসামিদের করা জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানিতে আরও উপস্থিত ছিলেন- জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এজে মোহাম্মদ আলী, জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, রুহুল কুদ্দুস কাজল, শফিউল আলম মাহমুদ, অ্যাডভোকেট শেখ শিমুল, মুহাম্মদ কাইয়ুমসহ মীর নাছির উদ্দিন, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রীম কোর্ট ইউনিটের সভাপতি আব্দুল জব্বার ভুঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক গাজী মো. কামরুল ইসলাম সজলসহ আরও অনেকে।
এর আগে ১ আগস্ট সকালে ভোলায় পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশ বাদী হয়ে ৭৫ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ৬৭৫ জনকে আসামি করে ভোলা সদর থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করে।
গত রোববার (৩১ জুলাই) বিকেলে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে ভোলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, সমাবেশের অনুমতি না নিয়েই কর্মসূচি দেয় বিএনপি। তাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশ কোনো বাধা দেয়নি।
‘কিন্তু সমাবেশের একপর্যায়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বিএনপি নেতা-কর্মীরা রাস্তায় নেমে পুলিশের ওপর হামলা চালান। পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এতে ১০ পুলিশ সদস্য আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।
এফএইচ/এসএএইচ/জেআইএম